অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ দেশে পুরোদমে চামড়ার কেনাবেচা চললেও লবণের দাম বাড়ার পাশাপাশি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হওয়ায় সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পোস্তায় প্রথমদিনে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। দাম কম পাওয়ার আশঙ্কায় চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকেই ট্রাক বোঝাই করে কাঁচা চামড়া আসছে হাজারীবাগ ও লালবাগের পোস্তা এলাকায়। আড়তদাররা চামড়া কিনছেন, লবণজাত করছেন শ্রমিকরা। দুটি স্থানে পুরোদমে চলছে সংরক্ষণ প্রক্রিয়াও। পোস্তার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, প্রথম দিনেই চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেতে পেরেছেন তারা। তবে, হঠাৎ করেই লবণের দাম বেড়ে যাওয়া এবং শ্রমিক সঙ্কট থাকায় সংরক্ষণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। পোস্তা থেকে চামড়া যাচ্ছে হাজারীবাগে। আবার ঢাকার বাইরে থেকে সরাসরি চামড়া আসছে হাজারীবাগের ট্যানারিতে। সেখানেও তাই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার একই চিত্র। তবে, দ্রুত চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করতে পারলে অন্তত ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাদের। তবে, সরকার নির্ধারিত দামে লবণজাত না করা চামড়া কিনে ফেলায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু রবিবার
নয়দিনের ছুটি শেষে আগামী রবিবার দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হবে। ঈদ-উল আযহা ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে শুক্রবার থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন আগের নির্ধারিত সময়েই দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাপ্তরিক কার্যক্রম ও লেনদেন শুরু হবে। এদিকে সরকারী ছুটি শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথমদিন কর্মকর্তাদের একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দীর্ঘ বন্ধে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতা
দীর্ঘ বন্ধের কবলে পড়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব সরকারী অফিস এখন বন্ধ। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক রাখতে শুধু ঈদের দিন ১২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। কিন্তু কাস্টমস, সিএন্ডএফসহ অন্য অংশীদাররা সরকারী বন্ধে ছুটিতে যাওয়ায় বন্দর চালু রেখেও তা কোন কাজে আসছে না। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের পাশাপাশি কন্টেনার জট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা। এমনিতেই অন্তত চার মাস ধরে কন্টেনার এবং জাহাজ জট থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চট্টগ্রাম বন্দর। বাজেট এবং ঈদের আগে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গত ঈদের আগে শ্রমিকদের টানা ধর্মঘট, এরপর ঈদের নয় দিনের বন্ধ। সব মিলিয়ে দেখা দেয় মারাত্মক জাহাজ এবং কন্টেনার জট। সে জট কাটতে না কাটতেই কোরবানির ঈদের আগে আবারও শ্রমিকদের পাঁচ দিনের ধর্মঘট। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার