ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ফোর-পি

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ফোর-পি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চার ধরনের পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এই চার পরিকল্পনাকে ফোর-পি বলা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- কর্মপরিকল্পনা, ক্রয় পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও নিয়োগ পরিকল্পনা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প পর্যালোচনা সভায় এসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এই ফোর-পির বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করে ৭ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশে এ প্রকল্পের অর্থ অবমুক্তি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক খাতে ব্যয় করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে যুক্ত। তাই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্প শুরুর আগেই প্রাথমিক কার্যক্রমগুলো করে রাখতে হবে। যাতে প্রকল্প বাধাগ্রস্ত না হয়। সেই নির্দেশনার আলোকেই ফোর-পির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণ প্রকল্পটির অগ্রগতি আশানুরূপ হয়েছে। এ প্রকল্পে মোট বরাদ্দের ৯৮ শতাংশই ব্যয় হয়েছে। যদিও অন্য একটি প্রকল্প থেকে অব্যয়িত ১০ কোটি টাকা এ প্রকল্পে উপযোজনের মাধ্যমে ব্যয় করার কথা ছিল। কিন্তু উপযোজনের প্রস্তাব সময়মতো পাঠাতে না পারায় পরিকল্পনা কমিশন সম্মতি দিলেও শেষ পর্যন্ত অর্থবিভাগ হতে সম্মতি পাওয়া যায়নি। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। কেননা গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও ব্যয় হয়েছে মাত্র ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিলের ৭৬ লাখ টাকা (২ শতাংশ) এবং বৈদেশিক সহায়তার ৬৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা (২০ শতাংশ) ব্যয় করা গেছে। এর কারণ হিসেবে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এসে অর্থায়নকারী সংস্থা কয়েকটি বিল অনুমোদন না করায় প্রকল্প সাহায্যের অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। স্ট্রেনদেনিং গবর্নেন্স ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট বিষয়ে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে অর্থব্যয় কম হলেও গত জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। এটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্তির লক্ষ্য রয়েছে। চট্টগ্রাম, মংলা, আইসিডি কমলাপুর এবং বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য কন্টেনার ক্রয় প্রকল্পের বিষয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে অর্থ অবমুক্ত হওয়ায় এ প্রকল্পের কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে এটি সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত থাকায় এ অর্থবছরের সমস্ত বরাদ্দ ব্যয় করা সম্ভব হবে।
×