ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বেলুচিস্তান ও পাক কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বেলুচিস্তান ও পাক কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান

বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে ভারত। এর আগে পাকিস্তান কাশ্মীরের অসন্তোষ নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থায় আবেদন করেছিল। খবর এনডিটিভির। বুধবার ভারত এক কড়া জবাবে বলেছে, পাকিস্তানের বৈশিষ্ট্যই হলো কতৃর্ত্ববাদ। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির অভাব এবং বেলুচিস্তানসহ দেশজুড়ে ব্যাপকমাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন। ভারতের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত অজিত কুমার পাকিস্তানকে বৈশ্বিক সন্ত্রাস রফতানির কেন্দ্রস্থল বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, জম্মু এবং কাশ্মীরের বড় অংশ অবৈধ দখল অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। অজিত কুমার বলেন, অন্যত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার পরিবর্তে বরং পাকিস্তানের ভেতরে এবং অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার অবস্থার উন্নয়নে বেশি নজর দেয়া উচিত দেশটির। জম্মু এবং কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে পাকিস্তান জাতিসংঘকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপব্যবহার করায় এর প্রতিবাদ করেন অজিত কুমার। তিনি বলেন, কাশ্মীরে যে পাকিস্তানের ভূখ-গত উচ্চাভিলাষ রয়েছে তা প্রায়ই সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কাশ্মীর পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক মিশনকে অনুমতি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের আহ্বান মঙ্গলবার প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। নয়াদিল্লী বলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের স্বঘোষিত কমান্ডারের মৃত্যুর কারণে কাশ্মীরে সঙ্কটের সূত্রপাত হয়েছিল। নারীর আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি যে কারণে পুরুষের তুলনায় বিষণœতার প্রভাব নারীর মাঝে বেশি পড়ার কারণে পুরুষদের চেয়ে নারীদের মাঝেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ভারতীয় এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিষণœতায় ভোগা ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তিনগুণ বেশি। খবর এনডিভির ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে আত্মহত্যার মোট ঘটনার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তা আবেগতাড়িত। বাকি ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মানসিক চিকিৎসা দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণগুলোর একটি হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে- অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডাঃ জি প্রসাদ রাও বলেন, ‘ভারতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি, গড়ে তা প্রায় আড়াই থেকে তিন গুণ বেশি। মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আবেগতাড়িত হয়ে হঠাৎ করেই ব্যক্তি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।’ ‘বাকি ক্ষেত্রে, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া ব্যক্তি নানাভাবে এর ইঙ্গিত দিতে থাকে। অনেকটা ‘আমার বেঁচে থাকা মূল্যহীন’, বেশিরভাগই এ ধরনের মন্তব্য করে থাকে। যদি তার চারপাশে থাকা মানুষগুলো যথাসময়ে বিষয়টি ধরতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে এ ধরনের আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
×