ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য বদলে যেতে পারে

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য বদলে যেতে পারে

ভারত ৭৮৭ কোটি ইউরোতে ৩৬টি ফরাসী রয়েল জঙ্গীবিমান কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে শীঘ্রই এক চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। এ চুক্তির ফলে ভারত দৃশ্যত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মেটিয়র ক্ষেপণাস্ত্র পাবে। উভয় দেশই চুক্তির বিস্তারিত দিকগুলো চূড়ান্ত করেছে। খবর এনডিটিভি ও পিটিআইয়ের। ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফেল বিমানগুলো মেটিয়র ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত হয়ে আসবে। মেটিয়র ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের শত্রুর বিমান ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে। ভারত এ অস্ত্রের অধিকারী হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য বদলে যেতে পারে। ভারতের দুই সামরিক প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও চীন কারও হাতে একই শ্রেণীর অস্ত্র নেই। মেটিয়রের মতো সামর্থ্যবান অন্য একমাত্র আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি হলো এআইএম-১২০ডি। এটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ারটু এয়ার মিসাইলের সর্বশেষ ভিন্ন সংস্করণ। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রেরও উদ্দেশ্য হলো ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করা। তবে বিশেষজ্ঞরাও উল্লেখ করেছেন যে, মেটিয়র এর র‌্যামজেট ইঞ্জিনের কারণে আরও বেশি সামর্থ্যবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার ইজ বোরিংয়ের মতে, এক প্রচলিত সলিড ফুয়েল বুস্টার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো উৎক্ষিপ্ত হওয়ার পর মেটিয়রের গতি বৃদ্ধি করে। কিন্তু যখন ক্ষেপণাস্ত্রটি বায়ুম-লের মধ্য দিয়ে ছুটে চলে, তখন এটি একটি নল খুলে দেয় এবং এতে বাতাস জোরে ইঞ্জিনে প্রবেশ করে। ফলে অক্সিজেন গরম হয়ে ওঠে এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে শব্দটির গতির চেয়েও চারগুণ বেশি বেগে চালিত করে। তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে টাইফুন মেরান্তি টাইফুন মেরান্তি বুধবার তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে। এতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৬টি বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার তাইওয়ান পাওয়ার কোম্পানি এ কথা জানিয়েছে। দ্বীপটিতে ঝড়ের প্রভাবে ঝড়োহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। খবর সিনহুয়ার। বিদ্যুত কোম্পানি জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৫টি বাড়িতে বিদ্যুত ছিল না। দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটুং কাউন্টিতে ৯১ হাজারের বেশি বাড়ি রয়েছে। বুধবার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে এবং সড়কে যানবাহন পরিবহনেও বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
×