ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পশুখাদ্যের বাজারে বিক্রির ধুম

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পশুখাদ্যের বাজারে বিক্রির ধুম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে শুধু পশু নয়, পাশাপাশি বিক্রির ধুম লেগেছে রাজধানীর গো-খাদ্যের বাজারে। কোরবানির উদ্দেশে গরু কিংবা ছাগল যা ক্রয় করা হোক না কেন পশুর খাদ্য নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না। রাজধানীর বিভিন্ন পশুরহাটসহ বাজারের আশেপাশেই গো-খাদ্য নিয়ে বসেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন পণ্যের হকার, রিকশা-ভ্যান, ঠেলাগাড়ি চালক গত চার-পাঁচদিন আগে পেশা পরিবর্তন করে এখন গো-খাদ্য বিক্রেতা বনে গেছেন। কাঁচাঁঘাস, শুকনো খড়, খৈল-ভুষি থেকে শুরু করে কাঁঠালপাতা মিলবে এসব বাজারে। ইতোমধ্যে জমেও উঠেছে। কারণ মাত্র একদিন পরই কোরবানি। অনেকেই পশু ক্রয় করেছেন। এখন পশুকে খাওয়াতে হলে তো গো-খাদ্য কিনতেই হবে। রাজধানীর শান্তিনগর, কমলাপুর, খিলগাঁও রেলগেট, বনশ্রী, আফতাব নগর, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়। এসব বাজারে আঁটি প্রতি কাঁচাঘাস ২০-৪০, শুকনো খড় ২০-৩০, কাঁঠালপাতা-২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর ভুষি কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা, খৈল ৮০, তুষ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কথা হয় খিলগাঁও রেলেগেটের কাঁচাঘাস ও শুকনো খড় বিক্রেতা জামেলা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বামী রিকশাচালক। তার সহায়তায় এই ব্যবসায় নেমেছি। আগে পিঠা বিক্রি করতাম। গত কয়েকদিন ধরে এই ব্যবসা শুরু করেছি। তবে আজ বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে। মূলত ব্যবসা হবে আজ ও আগামীকাল। কোরবানি হয়ে গেলে তো এই ব্যবসা বন্ধ। আবার পুরাতন ব্যবসা করমু। খড় বিক্রেতা হাসু মিয়া বলেন, কয়েকজন রিকশাচালক মিলে ব্যবসা শুরু করছি। ময়মনসিংহ থেকে ১০ হাজার টাকার খড় এনেছি। গরু বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে আমাগো খড়ের দামও বৃদ্ধি পাবে। কমলাপুরের সুমন বলেন, অল্প পুঁজিতে লাভের ব্যবসা ভালই হচ্ছে। নবীনগর থেকে কাঁচাঘাস এনে বিক্রি করছি। লাভ ভালই হচ্ছে। গরুর পাশাপাশি ছাগলের খাদ্যেরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। ফুটপাতের অনেক শিশু ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি কাঁঠালপাতা বিক্রি করছে। গাড়ি থামিয়ে খিলগাঁও রেলগেট থেকে কাঁঠালপাতা ও কাঁচাঘাস ক্রয় করা প্রাইভেট গাড়িচালক আনোয়ার বলেন, স্যার আজ একটি গরু ও একটি খাসি কিনেছে। এখন ঘাস ও কাঁঠালপাতা কিনলাম। কোরবানি তো পরশু। পশুকে তো খাওয়াতে হবে। কাল দাম তো আরও বেশি হবে। তাই একটু বেশি করে কিনলাম।
×