ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিজের ঘাড়েই দোষ চাপালেন মরিনহো

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিজের ঘাড়েই দোষ চাপালেন মরিনহো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে দুর্দান্ত গতিতেই ছুটছিলেন জোশে মরিনহো। তার অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই জয় পায় রেড ডেভিলরা। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসেই যেন থেমে যায় ইউনাইটেডের জয়রথ। নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বিতে হার মানে জোশে মরিনহোর দল। তবে এর জন্য অনেকেই ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙাকেই দায় দিচ্ছেন। কেননা নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হেনরিখ মখিতারিয়ান এবং জেসে লিনগার্ড নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ম্যাচের প্রথমার্ধে তো দুজনই ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। আর সেই সুযোগেই মাঝমাঠে ইচ্ছে মতো দাঁপিয়ে বেড়ায় পেপ গার্ডিওলার শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে এই হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন জোশে মরিনহো। এ প্রসঙ্গে সাবেক চেলসির এই কোচ বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা খুব ভাজে পারফর্ম করেছি। খেলোয়াড়রা তাদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে পারছিল না। ম্যাচের যে গতি তার সঙ্গে তাদের মানসিকতা মোটেই পেরে উঠেনি। আমি ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিট পর খেলোয়াড়দের বদল করতে পারতাম। কিন্তু তাতে তাদের অবস্থা খুব খারাপ হতো। কিন্তু সেটা না করায় তার মাশুল বেশ ভালভাবেই গুনতে হলো।’ এ সময় দল নির্বাচন প্রসঙ্গে স্পেশাল ওয়ান বলেন, ‘এখন যা জানতেছি তা যদি ম্যাচের আগে জানতাম তাহলে তো আমি কোন খেলোয়াড়কে পরিবর্তনই করতাম না। কোন সময় কোচকে তার খেলোয়াড়রা হতাশ করে আবার কোন সময় বিস্ময় উপহার দেয় কিন্তু আমি যা চেয়েছিলাম আজ তারা তা দিতে পারেনি। তাই এটা আমারই ভুল কেননা আমি তো কোচ।’ তবে এই ম্যাচ হারায় রেফারিকেও দোষারোপ করছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এই অভিজ্ঞ কোচ। কেননা দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে ওয়েন রুনির সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোর। যা মরিনহোর চোখে ‘পেনাল্টি ও লাল কার্ড’। কিন্তু তা আমলে নেননি ম্যাচ রেফারি মার্ক ক্ল্যাটেনবার্গ। যে কারণে রেফারির দিকে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন ইউনাইটেড কোচ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি আমার কোন খেলোয়াড় মাঝমাঠেও এমন ফাউল করত, মারুয়ান ফেলাইনি বা রুনির কেউ, তাহলেও এটি লাল কার্ড ও ফ্রি-কিক হতো।’ রেফারিকে দোষারোপেই থামেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলার পর গোল বের করতে না পারায় ভাগ্যকেও দুষছেন মরিনহো। এদিকে রুনির সঙ্গে বেধে যাওয়া ব্রাভোর সংঘর্ষের পর গার্দিওলা অবশ্য তার গোলকিপারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্লদিওর (ব্রাভো) কারণেই আমরা প্রথমার্ধে ভাল খেলেছি। আমি চাই, গোলকিপাররা যেন বলকে তাড়া করে। আর যা হলো (ইব্রার গোলের পর), তারপরও দ্বিতীয়ার্ধে সে খেলা চালিয়ে গেল। এটাই ওর ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে।’ প্রিমিয়ার লীগে মরিনহো-গার্ডিওলার এটি প্রথম দ্বৈরথ হলেও সবমিলিয়ে ১৮তম লড়াই। বিশ্বের তারাই দুই কোচ যাদের জন্য মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি ভক্ত-অনুরাগীদের দৃষ্টি থাকে ডাগআউটেও। তবে এই ম্যাচ শেষে মরিনহো বলেছেন গার্ডিওলাকে সম্মান করেন তিনি। জবাবে সাবেক বার্সিলোনার কোচ গার্ডিওলা বলেন, ‘আমি জানি না তিনি আমাকে সম্মান করেন কিনা তবে আমি তাকে অনেক সম্মান করি। কারণ আমরা এখানে দ্বৈরথ দেখতে আসি না। তিনি যেমন জয়ের জন্য আসেন তেমনি আমারও মূল লক্ষ্য জয়।’
×