ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লিভারপুলে নাকাল চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লিভারপুলে নাকাল চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মৌসুমে চমক দেখিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে শিরোপা জিতেছে লিচেস্টার সিটি। কিন্তু শুরু হওয়া ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রথম থেকেই অচেনা লাগছে দলটিকে। বর্তমানে চারটি করে ম্যাচ শেষে লীগের ১৫ নম্বরে চ্যাম্পিয়নরা। চার ম্যাচের মধ্যে জয় মাত্র একটিতে, ড্র একটি। আর দুটিতেই হার। শনিবার রাতে লিভারপুলের কাছে ৪-১ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হয়েছে লিচেস্টার। এ্যানফিল্ডে ভার্ডি, মাহরেজদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে ওঠেন ফিরমিনো, লালানারা। আরেক ম্যাচে শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্সেনাল ২-১ গোলে হারিয়েছে সাউদাম্পটনকে। পরশুর অন্য ম্যাচে বোর্নমাউথ ১-০ গোলে ওয়েস্টব্রুমউইচকে, ক্রিস্টাল প্যালেস ২-১ গোলে মিডলসবার্গকে, টটেনহ্যাম হটস্পার ৪-০ গোলে স্টোক সিটিকে ও ওয়াটফোর্ড ৪-২ গোলে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে পরাজিত করে। বার্নিল ও হাল সিটির মধ্যকার ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। বর্তমানে চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে এগিয়ে থেকে দুইয়ে আর্সেনাল ও তিন নম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুল ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে। নিজেদের মাঠ এ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই লিচেস্টারের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে লিভারপুল। ১৩ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন রবার্টো ফিরমিনো। জেমস মিলনারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ১৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ড্যানিয়েল স্টারিজের নেয়া বাঁ পায়ের জোরালো শট রুখে দেন অতিথি গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেল। ২৬ মিনিটে আরও একবার স্টারিজের প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দ্য রেডসরা। স্টারিজের ব্যাক হিল থেকে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে অসাধারণ চিপে স্মাইকেলের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান সাডিও মানে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে লিচেস্টারকে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন গত মৌসুমে লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ গোল করা জিমি ভার্ডি। গোলটি অবশ্য এক রকম উপহার দেন লুকাস লেইভা। ডি বক্সের মধ্য বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে গোলের সামনে ভার্ডির পায়ে বল তুলে দেন ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডার। ফাঁকায় থাকা ভার্ডি সহজেই গোল করেন। বিরতির সময় ব্যবধান ২-১ হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হবে লিচেস্টার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের প্রচেষ্টা নস্যাত করে দেন লিভারপুলের লালানা। ইংলিশ এই মিডফিল্ডার বুলেট শটে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ৩-১ গোলে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে ফিরমিনো তার দ্বিতীয় গোল করেন। জর্ডান হেন্ডারসনের কাছ থেকে বল পেয়ে সাডিও মানে ফিরমিনোর উদ্দেশে বাড়ান। এরপর সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ফলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। আরেক ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে সান্টি ক্যাজোরলার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। নিজেদের মাঠ লন্ডনের বিখ্যাত এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় অতিথি সাউদাম্পটন। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে সার্বিয়ার মিডফিল্ডার ডুসান টাডিচের ফ্রিকিকে বল ক্রসবারে লেগে মাটিতে পড়ে গোলরক্ষক পিটার চেকের পিঠে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। এরপর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আক্রমণ শাণাতে থাকে গানার্সরা। যে কারণে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে কোন গোল না খাওয়া সাউদাম্পটন আর বেশিক্ষণ নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি। ২৯ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান লরাঁ কোসিয়েলনি। কর্নার থেকে দুই খেলোয়াড়ের মাথা হয়ে বল পেয়ে বাইসেকল কিকে বল জালে জড়ান ফরাসী এই ডিফেন্ডার। খেলা যখন অমীমাংসিতভাবে শেষ হতে যাচ্ছিল তখনই অনেকটা উপহার পায় আর্সেনাল। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে (৯৪ মিনিট) ডি বক্সে অলিভিয়ের জিরুডকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় গানার্সরা। আর স্পট কিক থেকে জয়সূচক গোলটি করেন ক্যাজোরলা।
×