ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের আগে ও পরে টানা সাতদিন যৌথ অভিযান ॥ জঙ্গী গ্রেফতার ও অর্থায়ন ঠেকাতে কৌশলী উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঈদের আগে ও পরে টানা সাতদিন যৌথ অভিযান ॥ জঙ্গী গ্রেফতার ও অর্থায়ন ঠেকাতে কৌশলী উদ্যোগ

গাফফার খান চৌধুরী ॥ জঙ্গী গ্রেফতারে এবারই প্রথম ঈদের সময়কে টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গী অর্থায়ন ঠেকাতেও নেয়া হয়েছে এমন কৌশলী উদ্যোগ। ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে। ঈদের সময় সীমান্ত পথে জঙ্গীরা দেশের ভেতরে প্রবেশ এবং দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করে থাকে। এ সময়টাতে জঙ্গীরা বিভিন্ন আস্তানায় অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থ যোগাতে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জালমুদ্রার ব্যবসা করে জঙ্গীরা। এজন্য ঈদের আগে ও পরে টানা সাত দিন যৌথ অভিযান চলবে। এমন অভিযান চলবে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও। সেই সঙ্গে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে জঙ্গী তৎপরতায় থাকা জেলাগুলোর ঈদ জামাতকে ঘিরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে এপিজির (এশিয়ান প্যাসিফিক গ্রুপ) আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এপিজি মানি লন্ডারিং ও জঙ্গী অর্থায়নের বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আন্তর্জাতিক ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মানি লন্ডারিং ও জঙ্গী অর্থায়ন বিষয়ক নানা তথ্য উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু গত ৭ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁ ও বেকারিতে জঙ্গী হামলায় ১৭ জন বিদেশী, দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তিন বাংলাদেশীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকায় ওই সম্মেলেন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তিন সদস্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সিআইডি সূত্র বলছে, সম্মেলনে জঙ্গী তৎপরতা ও তাদের অর্থায়ন সংক্রান্ত নানা বিষয়াদি আলোচিত হয়েছে। সেই আলোচনায় এসেছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের অদূরে জঙ্গী হামলা, জঙ্গী অর্থায়ন, জঙ্গী সংগঠনগুলোর অর্থ সংগ্রহের কৌশলসহ নানা বিষয়। তাতে ঈদ সামনে রেখে নানাভাবে জঙ্গীরা তৎপরতা চালায় বলেও জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের জঙ্গীরা দলের ফান্ড গঠন করতে জালমুদ্রার ব্যবসা করে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ সংক্রান্ত বৈঠকও হয়েছে। জালমুদ্রার ব্যবসার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশে জালমুদ্রা ব্যবসার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে জঙ্গীরা। এর মধ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি জালমুদ্রা ব্যবসার প্রায় শতভাগই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জেএমবির একটি বিশেষ সেল রয়েছে। সেলটি জালমুদ্রা প্রস্তুত করতে সিদ্ধহস্ত। তাদের তৈরি জালমুদ্রা সাধারণ মানুষের পক্ষে তো দূরের কথা, অনেক ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষেও ধরা সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে জব্দ হওয়া জেএমবির তৈরি জালমুদ্রা বাংলাদেশ ও ভারতের ল্যাবরেটরিতে কয়েক দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। দুই দফায় পরীক্ষার পরও নোটটি যে জাল, তা ধরা পড়েনি। যদিও শেষ পর্যন্ত নোটগুলো জাল বলে ধরা পড়ে। অত্যন্ত শক্তিশালী প্রযুক্তির মাধ্যমে জেএমবির তৈরি জালনোট ধরা সম্ভব। সাধারণমানের যন্ত্র দ্বারা জেএমবির তৈরি জালনোট শনাক্ত করা খুবই কঠিন। গ্রেফতারকৃত জালমুদ্রা প্রস্তুতকারীদের বরাত দিয়ে সিআইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেএমবির যে সেলটি জালমুদ্রা তৈরি করে, তাদের অধিকাংশই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা বিভিন্ন সময় পাকিস্তানে জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ভারি সমরাস্ত্রের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের দলের অর্থ যোগাতে জালমুদ্রা তৈরির কলাকৌশলও শেখানো হয়। আর জালরুপীর অধিকাংশই পাকিস্তানে তৈরি হয়। এরপর তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত পথে ভারতে প্রবেশ করায় জঙ্গীরা। পুরো এই চক্রটির সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানী জঙ্গীরা জড়িত। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের গ্রেফতারে অভিযানও চলছে। গ্রেফতারও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও জালমুদ্রা প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ থেমে নেই। তবে আগের তুলনায় কমে গেছে। এজন্য ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), বিএসএফ ও মানি লন্ডারিং নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সাতটি পয়েন্ট সিল করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই সাতটি পয়েন্ট দিয়ে সবচেয়ে বেশি জালমুদ্রার কারবার হয়। সম্প্রতি ভারতের রাজস্ব মহাপরিচালকের গোয়েন্দা পরিদফতরের ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জালরুপী ভারতীয় অর্থনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত। জালরুপীর কারণে ভারতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এর কারণে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র বাড়ছে। জালমুদ্রার অধিকাংশই ব্যবহৃত হচ্ছে চোরাচালানের ক্ষেত্রে। চোরাচালানের পণ্য বেচাকেনার সূত্রধরে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া থেকে ভারতে জালরুপী প্রবেশ করছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, জালমুদ্রার বিস্তার এক সময় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে ছিল। বিশেষ করে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জালমুদ্রা সংক্রান্ত মামলার হার অন্যান্য যেকোন সময়ের তুলনায় বেশি ছিল। সে হিসাব অনুযায়ী সারাদেশ থেকে জালমুদ্রা কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ২৪শ’ জন গ্রেফতার হয়েছিল। যাদের অনেকেই আবার পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে জালমুদ্রার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া জালমুদ্রার কারবারে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশে সাড়ে ৪শ’ বিদেশীও গ্রেফতার হয়েছে। বিদেশীদের জামিনের হার তুলনামূলক কম। জালমুদ্রা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মামলা রয়েছে। এ ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ৪ জন উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জালমুদ্রার কারবার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল, যা দুই দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল। বিষয়টি থেকে উত্তরণ পেতে দুই দেশই উপায় খুঁজছিল। গত বছরের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এলে দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে ১৪ নম্বর চুক্তিটি হয় মাদক চোরাচালান ও জালমুদ্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে। সেই চুক্তির ধারাবাহিকতায়ই দুই দেশের মধ্যে জালমুদ্রার বিস্তার রোধে তথ্য আদান-প্রদান ও কম্বিং অপারেশন অব্যাহত আছে। কম্বিং অপারেশনের ফলে জালমুদ্রার কারবার অনেকটাই কমে গেছে। অনেকেই গ্রেফতারও হয়েছে। ঈদকে টার্গেট করে জঙ্গী গ্রেফতারের পাশাপাশি জঙ্গী অর্থায়ন ঠেকাতে নতুন করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী জেলাসহ জালমুদ্রাপ্রবণ স্থানগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে জালমুদ্রা পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙ্গে দিতে নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। এর সঙ্গে পাকিস্তানী জঙ্গীগোষ্ঠীগুলো ছাড়াও সেদেশের কোন কোন রাষ্ট্রীয় সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে জালমুদ্রার বিস্তার ঘটানো এবং জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে পাকিস্তান হাইকমিশনের কূটনৈতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সেদেশটির সরকার। জালমুদ্রা, জঙ্গী অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়াদি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির একটি প্রতিনিধি দল আমেরিকায় অনুষ্ঠিত এপিজি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলনে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জালনোটের বিষয়ে তারা সর্বদা সজাগ আছেন। ঈদ সামনে রেখে জালনোটের কারবারিরা সক্রিয় হয়। জালনোটের কারবারিদের তৎপরতারোধে ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই প্রতিটি পশুর হাট, উপজেলাগুলোতে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জালনোট শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ঈদকে সামনে রেখে যাতে জালনোটের বিস্তার ঘটতে না পারে এজন্য অভিযান চলছে। জালনোট প্রতিরোধে নতুন আইন তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলছেন, নতুন আইনের একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। জালনোট, জঙ্গী অর্থায়নসহ পুরো বিষয়টি মনিটরিং করতে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। এদিকে সিআইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বাংলাদেশে পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে পাকিস্তানী কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশে জালমুদ্রার কারবার অনেক কমে গেছে। দেশে জালমুদ্রার ব্যবসা শূন্যের কোটায় আনতে যশোর, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব জেলার সীমান্ত পয়েন্টে জালনোট তৈরি হয়। জঙ্গী সংগঠনগুলোর অর্থের একটি বড় উৎস জালমুদ্রার ব্যবসা। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জেএমবির বোমা তৈরির কারখানা স্থাপনে অর্থের একটি বড় যোগান এসেছিল জালমুদ্রা থেকে। জালমুদ্রা জেএমবির অর্থের অন্যতম উৎস বলে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নিশ্চিত হয়েছে। শুধু জেএমবি নয়, ভারতীয় ও পাকিস্তানী জঙ্গী সংগঠনগুলোরও অর্থের অন্যতম উৎস জালমুদ্রার ব্যবসা। এ ব্যাপারে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম (সংঘবদ্ধ অপরাধ) নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতে জালমুদ্রার কারবারিদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। ধারাবাহিক অভিযানের কারণে জালমুদ্রার দাপট কমে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময় জালমুদ্রার ব্যবসা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক মেরুদ- আরও শক্তিশালী হবে। জালমুদ্রার কারবার ঠেকানো সম্ভব হলে বাংলাদেশ দ্রুতই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। জালমুদ্রার বিষয়ে পুলিশ সারাদেশেই ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে জনকণ্ঠকে জানান পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক মোঃ জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। জালমুদ্রার বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, র‌্যাব সবসময়ই জালমুদ্রার বিস্তাররোধে তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন গরুর হাটের পাশাপাশি সীমান্ত হাটগুলোতে তারা বেশি তৎপর।
×