ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দল বাড়ল ঘরোয়া আসর বিসিএলে

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দল বাড়ল ঘরোয়া  আসর বিসিএলে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা বাফুফে ভবনের বোর্ড রুমে কমিটির সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়Ñ ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ ২০১৫-১৬’ (বিসিএল) -এ মোট ৮টি দল অংশ নেবে। দলগুলো হলো : মতিঝিল টিএ্যান্ডটি ক্লাব, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড স্পোর্টস ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাথলেটিক ক্লাব, কাওরান বাজার প্রগতি সংঘ, চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। শেষের তিনটি ক্লাবকে নতুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং আরও ২টি দলকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে (কক্স সিটি এবং নারায়ণগঞ্জ শুকতারা ক্লাব) যা পরবর্তীতে শর্তসমূহ যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সেক্ষেত্রে দলের সংখ্যা বেড়ে উন্নীত হবে ১০-এ। আরও জানান হয়, মোট ১২টি নতুন ক্লাব আবেদন করে, যাদের মধ্যে থেকে তিনটি ক্লাবকে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের দলবদল শুরু হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। লীগের খেলা হবে দুই লেগে। ভেন্যু আপাতত কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। পরে ভেন্যু বাড়তে পারে। এদিকে গত বছরের ৩ আগস্ট শেখ রাসেলের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ম্যাচ অসমাপ্ত রেখে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ায় ওই মৌসুম এবং তার পরের মৌসুমের জন্য বিপিএল থেকে নিষিদ্ধ হওয়া ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব চলতি মৌসুমেই আবারও বিপিএল খেলতে পারবে। নিয়ম অনুযায়ী ওয়াক ওভার দেয়া ফুটবল দলের বিসিএলে নেমে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে খেলে আবার বিপিএলে খেলবে; এটাই নিয়ম। ব্যতিক্রম নিয়ম ফরাশগঞ্জের জন্য। তারা আর্থিক জরিমানা দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বিপিএলে খেলবে। বিসিএলে খেলতে হবে না। এটা বাফুফের বোর্ডের সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, শাস্তি পাওয়া আরেক দল কক্স সিটিও খেলতে পারে বিসিএলে, যাদের আবেদনকে বিবেচনা করছে বাফুফে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ অ-১৬ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের উপস্থিতিতে ওই দল সম্পর্কে বাফুফের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে। বাফুফে কার্যনির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ দাশ রূপু ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১২’ প্রাপ্ত হওয়ায় সভা কর্তৃক তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে বাফুফে। জাতীয় হকি দল গঠনে ভিন্ন পদ্ধতি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী নবেম্বরে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘এএইচএফ কাপ’ হকি আসর। এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে বাংলাদেশকে। নইলে তারা এশিয়া কাপে খেলার ছাড়পত্র পাবে না। এজন্য ওই আসরকে কেন্দ্র করেই একটি তিন মাস মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে বাহফে। ইতোমধ্যেই অলিভার কার্টজকে জাতীয় হকি দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আপাতত ফেডারেশন একটি স্বল্পকালীন পরিকল্পনা নিয়েছে। যার অধীনে জাতীয় হকি দল (২২ খেলোয়াড়) জার্মানিতে একমাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে। জাতীয় দলের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়রা প্রাথমিকভাবে চলে যাবেন জার্মানিতে। সেখানে তারা খেলবেন বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে। এই কোচিং প্যানেল এ সময় খেলোয়াড়দের তদারকি করবেন। ইতোমধ্যে একাধিক খেলোয়াড় চলে গেছেন জার্মানিতে। একমাস খেলার পর আাগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সব খেলোয়াড়কে একত্রিত করা হবে একমাসের ক্যাম্প। এ সময় শক্তিশালী ক্লাবগুলোর সঙ্গে জাতীয় দল খেলবে ১২টি প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর দেশে ফিরে ঢাকায় ২০-২৫ দিন ক্যাম্প করে দল যাবে হংকংয়ে খেলতে। অন্যবারের চেয়ে এবারের জাতীয় হকি দলগঠন করবে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে। প্লেয়ার সিলেকশনে এবার ছিল ভোটাভুটি! সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন ছয়জন। কামরুল ইসলাম কিসমতকে চেয়ারম্যান করে সদস্য ছিলেন মাহবুব হারুন, রফিকুল ইসলাম কামাল, আবু জাফর তপন, মাহবুব এহসান রানা ও আরিফুল হক প্রিন্স। কোন খেলোয়াড়ের নাম উচ্চারিত হলে ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েছে। অর্থাৎ কারও কোন দ্বিমত থাকলেই যার পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে, সেই দলে টিকেছে। খেলোয়াড় বাছাইয়ে গত প্রিমিয়ার লীগের পারফর্মেন্স। তবে বিতর্ক উঠেছে ইমনকে নিয়ে। কারণ তিনি ইনজুরিতে থাকায় প্রিমিয়ারে খেলতেই পারেননি! একই প্রশ্ন গোলরক্ষক জাহিদকে নিয়েও। অথচ লীগে চমৎকার খেলেও ডিফেন্ডার খোরশেদুর রহমান জাতীয় দলে ঠাঁই পাননি! একই অবস্থা হাসান যুবায়ের নীলয়ের। ফলে সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে পক্ষপাতিত্বের। তবে এ প্রসঙ্গে সিলেকশন কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, ‘এ অভিযোগগুলো সত্যি নয়। আমরা ফেব্রুয়ারিতে ভারতে এসএ গেমস ও প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি টুর্নামেন্ট একসঙ্গে আমলে নিয়ে নিজেদের মাঝে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারও কারও নামে আপত্তি থাকলে ভোটাভুটি হয়েছে। পক্ষপাতিত্ব হয়নি, এটি জোর দিয়েই বলতে পারি। তবে নিলয়ের নাম ভোটাভুটিতে বাদ পড়লেও তাকে নেয়ার জন্য সবার আগ্রহ রয়েছে।’
×