ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মিসবাহর হাতে উঠছে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মিসবাহর হাতে উঠছে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের  স্মারক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাদা পোশাকের অভিজাত ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া-ভারত-দ.আফ্রিকার মতো দুর্ধর্ষ সব দলকে পেছনে ফেলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারে মতো দলকে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে তুলে আনা পাকি অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের হাতে উঠতে যাচ্ছে আইসিসির শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক (গদাইসদৃশ)। আগামী ২১ তারিখ লাহোরে মিসবাহর হাতে গৌরবের এই স্মারক হস্তান্তর করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। শীর্ষ দল হিসেবে সম্প্রতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই স্মারক পেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হয়ে শীর্ষস্থান খোয়ায় কুলিন অসিরা। সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ের তিনে তারা, দ্বিতীয় স্থানে বিরাট কোহলির ভারত। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়েও ইংল্যান্ড সফরে ২-২ এ সিরিজ ড্র করে মিসবাহ-বাহিনী। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ ম্যাচে ভারত ড্র করলে পরের সপ্তাহেই শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান। ২১ সেপ্টেম্বর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মিসবাহর হাতে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের সনদ, স্মারক ও অর্থ পুরস্কারের চেক তুলে দেবেন আইসিসির নির্বাহী প্রধান ডেভ রিচার্ডসন। শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ খবর জানান হয়েছে। টেস্টে পাকিস্তানের উত্থান অবিশ্বাস্য। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর আর কোন বড় দল দেশটি সফর করেনি। নিজেদের ম্যাচগুলো তারা আরব আমিরাতে খেলে আসছে। অর্থাৎ বিদেশ বিভূঁয়ে হয়েই উঠে এসেছে শীর্ষ স্থানে। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪২উর্ধ বয়সী মিসবাহ। অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘এটা আকস্মিক কিছু নয়। এই সাফল্য টেস্ট নিয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনার ফসল। দল হিসেবে কয়েক বছর আগেই আমরা যে ছক কষেছিলাম, ১ নম্বর হওয়াটা তারই পুরস্কার। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো সেরা সব দলকে পেছনে ফেলে এই অর্জন অনেক গর্বের।’ দেশে ক্রিকেট না থাকার পরও অব্যাহত সমর্থনের জন্য পাকিস্তানীদের বিশেষ ধন্যবাদ দেন তিনি। ব্যাটে-বলে গুরত্বপূর্ণ অবদান ইউনুস খান আর ইয়াসির শাহর। ২০১৪ সালের অক্টোবর হতে ৬ নম্বর থেকে শীর্ষে উঠে আসার পথে নিজেদের শেষ ৬ সিরিজের একটিতেও হারেনি পাকিরা। জয় ৪ ও ড্র ২ । ১৭ ম্যাচের ১০টিতেই জিতেছে মিসবাহর দল, ড্র ৩! সত্যি অসাধারণ। হিসেবটা এক বছর পিছিয়ে ধরলে জয়-পরাজয় ১৩ : ৯। এ সময়ে ব্যাট হাতে অভিজ্ঞ ইউনুসের গড় ৬২.৯৫, লেগস্পিনার ইয়াসিরের শিকার ৯৫ উইকেটÑ দু’জনের অবদান তাই অনুমেয়। ফল ঃ ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিক আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর এই প্রথম এক নম্বরে উঠে আসে পাকিস্তান।
×