ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাত থেকে ১৪ ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে ঘাটে

ফেরিঘাট আর মহাসড়কে ভোগান্তি কাটছে না

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ফেরিঘাট আর মহাসড়কে ভোগান্তি কাটছে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুক্রবার রাত ১০টায় মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসটি শনিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করতে পারেনি। একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে এ মহাসড়কে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়েছে। মহাখালী এনা পরিবহনের ম্যানেজার মোঃ আতিক জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রুটের জয়দেবপুর পর্যন্ত অবস্থা একেবারেই বেহাল। সবচেয়ে মহাভোগান্তির শিকার হচ্ছেন টাঙ্গাইল রুটের যাত্রীরা। শনিবার ছুটির দিনে রাজধানী ঢাকা ছিল যানজটমুক্ত। বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনমুখী ছিল ঘরে ফেরা মানুষের স্রোত। এদিকে প্রতিটি মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তুলনামূলক সিলেট মহাসড়কের পরিস্থিতি ভাল। গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, মাওয়া, কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া ঘাটে ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার যানবাহন। সড়ক ও ফেরিতে ভোগান্তির কারণে সময়মতো ঢাকায় আসতে পারছে না যাত্রীবাহী বাস। একারণে অগ্রিম টিকেট নেয়া যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে বসে থাকতে হচ্ছে। রেলপথে অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। কিছু ট্রেন কমলাপুর থেকে বিলম্বে ছাড়লেও তেমন কোন ভোগান্তি হচ্ছে না। তবে ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছাদে উঠছে হাজারও মানুষ। সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ায় ট্রেনে চাপ বেড়েছে আরও বেশি। সদরঘাট নদীবন্দরে বেশিরভাগ লঞ্চ যাচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। তবে সব যাত্রীই নিরাপদে লঞ্চে উঠতে পারছেন। ফাঁকা রাজধানী ॥ রাজধানী ফাঁকা; কোথাও যানজট নেই। পায়ে পায়ে মানুষের স্রোত এখন টার্মিনালমুখী। অর্থাৎ রেল-বাস ও নৌ-টার্মিনালকেন্দ্রিক শুধু মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেও ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই যানবাহন চলছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশিরভাগ প্রাইভেটকার ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছে। নগরীতে চলা বাসগুলোর মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রায় সব মহাসড়কেই সিটি সার্ভিসগুলোর যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই রাজধানীতে এখন তুলনামূলক বাসের সংখ্যা কম। তবে রিক্সার দাপট রয়েই গেছে। ভাড়াও বেশ চড়া। বাসের খবর নেই ॥ সকাল সাড়ে ৭টায় বাস ছাড়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার রাত সোয়া ১২টায়ও বাস আসেনি। ১৭ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার জন্য রাজধানীর কল্যাণপুরে মেয়ে নুসরাত, ছেলে অর্ক ও রাফিকে নিয়ে অপেক্ষারত রয়েল পরিবহনের যাত্রী ইমা এমনটাই জানান। অপরদিকে সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে রাত ৯টায় পাটুরিয়া ঘাটে (১৪ ঘণ্টা) পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ঈগল পরিবহনের এক যাত্রী। যাত্রী ইমা বলেন, আমরা বসে থাকতে পারি কিন্তু বাচ্চারা পারবে না। কাউন্টারে গেলে বলে এক কিলোমিটার দূরে আছে, আধা ঘণ্টা লাগবে, এক ঘণ্টা লাগবে কিন্তু গাড়ির খবর নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে থেমে থেমে জট ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকলেও বড় ধরনের জটলা সৃষ্টি হয়নি। তবে গোমতী সেতু থেকে দাউদকান্দির শহীদনগর এলাকা পর্যন্ত যানজট রয়েছে। শনিবার ভোর থেকে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে থেমে থেমে একমুখী এ যানজট তৈরি হচ্ছে। কমলাপুর ও সদরঘাটে মানুষের ভিড় ॥ কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট নদীবন্দরে উপচেপড়া মানুষের ভিড়। ভোর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে কমলাপুর ও সদরঘাট টার্মিনাল। বাড়তি যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে লঞ্চ ও ট্রেন। বাড়ি ফিরতে আগে ভাগেই স্টেশনে আসছে মানুষ। প্ল্যাটফর্মজুড়ে বাড়ছে ভিড়। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় ভিড়ও কমে যাচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৮ কিমি দীর্ঘ যানজট ॥ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে এবং শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি রুটের শিমুলিয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের মেঘনা সেতু থেকে গজারিয়া উপজেলার দড়িবাউশিয়া পর্যন্ত ৮ কিমি দীর্ঘ যানজট সকাল থেকেই। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। মেঘনা সেতু দিয়ে পার হতে গিয়ে যানজট হচ্ছে বেশি। দু’পারের মহাসড়ক চার লেন কিন্তু মেঘনা সেতু অপেক্ষাকৃত সরু, পাশাপাশি দুটি যান চলাচল করতে পারে। ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট কামরুজ্জামান রাজ জানান, পুলিশ যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় পুরোপুরি যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না। দৌলতদিয়ায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে যানজট ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা রাজবাড়ী থেকে জানান, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ৪টি ফেরিঘাট দিয়ে ১৫টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করা হলেও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন, কোরবানির পশুবোঝাই ট্রাক, কার, মাইক্রোসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নদীপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ৪টি ফেরিঘাটই সচল রয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি বড় এবং ৭ ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হলেও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো নদী পার হতে সময় লাগছে বেশি। কাওড়াকান্দি ঘাটে নেমেই ভোগান্তি ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, ঈদ-উল-আযহায় ঘরে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। ছুটির তৃতীয় দিনে কাওড়াকান্দি ঘাটে তীব্র যানজট ও অব্যবস্থাপনার কারণে ঘাটে নেমেই অসহনীয় ভোগান্তি আর চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। শনিবার সকাল থেকে কাওড়াকান্দি ঘাটসংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যত্রতত্র আটকে আছে নৈশকোচ, পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক, গরুবোঝাই ট্রাক, প্রাইভেটকার, লোকাল বাস, আন্তঃজেলা পরিবহন, ইজিবাইক, নসিমন-করিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন। ফলে শিমুলিয়া থেকে কাওড়াকান্দি ঘাটে নেমে ২-৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে যাত্রীদের গন্তব্যের গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘাট এলাকায় তেমন তৎপরতা নেই। সড়ক, মহাসড়ক ও সংযোগ সড়কের উপর এলোমেলোভাবে পরিবহন রাখায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে পাঁচ্চর এ্যাপ্রোচ সড়কের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে আটকে আছে অসংখ্য পরিবহন। তীব্র যানজটের কবলে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। দুই দিন ধরে ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক গরুবোঝাই ট্রাক। যানজটের কবলে পড়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে মহাসড়কেÑ এমন অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের। এদিকে পদ্মায় নাব্য সঙ্কটে ফেরি চলাচল সীমিত হওয়ায় এ দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে স্পিডবোট ও দক্ষিণাঞ্চলগামী সকল যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাওড়াকান্দি ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় ঘাটের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইলের প্রায় ৬০ কিলোমিটার অংশে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ৮শ’ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এতকিছুর পরও মহাসড়কে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যানজটে আটকে পড়া লাখো মানুষ। পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গের প্রধান ফটক মির্জাপুরের গোড়াই থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৪টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, ১০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মহাসড়কে যানজট নিরসন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রী হয়রানি রোধসহ ঘরে ফেরা নির্বিঘœ করতে জেলার মির্জাপুরের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত র‌্যাব-১২ ও পুলিশের কয়েকটি বিশেষ টিম কাজ করবে। মহাসড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য মহাসড়কের পাশে প্রায় ২৫টি স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মহাসড়কের মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর ও এলেঙ্গা বাইপাস এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে বলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন। মহাসড়কে পুলিশের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভ্রাম্যমাণ টিম টহলে সময় বেঁধে কাজ করছে। মহাসড়কে যানবাহনের চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকারের লেখা একাধিক ফেস্টুন মহাসড়কের দুই পাশে সাঁটানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ও পুলিশের এসব টিম গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে। ঈদের পরের দিন থেকে একইভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে নিয়োজিত থাকবেন। সূত্র জানায়, মহাসড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল হয়ে প্রতিদিন গড়ে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলার বিভিন্ন ধরনের কমপক্ষে ২০-২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল আরও ব্যাপক হারে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে যেকোন সমস্যা দ্রুত নিরসনে ৬০ কিলোমিটার এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে পুলিশের প্রায় ৪০টি ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করছে। সড়ক দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক উদ্ধারকাজের জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি রেকার মজুদ থাকছে। পাটুরিয়া ঘাটে ১০ কিলোমিটারের দীর্ঘ লাইন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় নৌরুটে ঈদ উপলক্ষে ১৮টি ফেরি চলাচল করার কথা থাকলেও তার সঠিক সংখ্যা কত তা জানাচ্ছেন না বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে পাটুরিয়া মূল ঘাট থেকে যাত্রীবাহী বাসের লাইন ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পাশাপাশি ৫নং ঘাট থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত ২টি বাইপাস সড়ক দিয়ে ৬ কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরগতিতে পার হচ্ছে প্রাইভেট ও মাইক্রোবাস। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ও দৌলতদিয়া ঘাটের সব পন্টুন সচল না থাকায় মূলত এ যানজট। কখনও ১৫ কখনও ১৩টি ফেরি দিয়ে পারাপারের কাজ চালানো হচ্ছে। ফেরি সংখ্যা কম থাকায় ও দৌলতদিয়ায় ৪টি ঘাটের সব পন্টুন সচল না থাকায় ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাটুরিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু। প্রচ- গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রাত-দিন পরিশ্রম করে ঘাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখছেন।
×