ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে আরও ১১১ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নীলফামারীতে আরও ১১১ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর জলঢাকার কাঠালী ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সরকারের দেয়া হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য ভিজিএফের ১১১ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়। জানা যায়, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার রাত আটটার দিকে মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া বাজারে অভিযান চালায়। অভিযানে ওই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের মৃত দোসো মাহমুদের ছেলে মেনাল হোসেনের গুদামে ২৫ বস্তা ও তার বাড়ির ঘর হতে ৫০ বস্তাসহ ৭৫ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যায় মেনাল হোসেন। অপরদিকে একই দিন রাতেই জেলার জলঢাকা উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের বিন্নবাড়ি বাজারে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ। এখানে অছিয়ার রহমানের গুদাম হতে ভিজিএফের ৩৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান জানান, চাল থানায় নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার দুপুরে জলঢাকার গোলনা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ হাটের দুই ব্যবসায়ীর গুদাম হতে ৭১ বস্তা ভিজিএফের চাল জব্দ করা হয়েছিল। কার্ড আছে চাল নেই সৈয়দপুর উপজেলার গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দ করা চাল এখনও অনেকে পাননি। সরকারের দেয়া ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ভিজিএফ কার্ড নিয়ে এসব গরিব ও দুস্থ মানুষ জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে ভিড় করছে। জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের জন্য ৪৩ হাজার ৬৮৩ জনের বিপরীতে ৪৩৬ দশমিক ৮৩০ টন ও সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫ ওয়ার্ডের জন্য চার হাজার ৮১০ জনের জন্য ৪৬ দশমিক ২১০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কার্ডধারীরা বিনামূল্যে চাল পাবে ১০ কেজি করে। গত মঙ্গলবার হতে শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এসব চাল বিতরণ শেষ করা হয়। বিতরণের নিয়ম ছিল প্রতি ৫ জন কার্ডধারী ৫০ কেজি ওজনের প্যাক করা চালের বস্তা পাবে। তারা নিজেরা ওই চাল ১০ কেজি করে ভাগ করে নেবে। অভিযোগ ১০ কেজি চালের পরিবর্তে দেয়া হয় ৬ থেকে ৭ কেজি। প্লাস্টিকের বালতিতে চাল মেপে দেয়া হয়েছে। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে ৪ শতাধিক গরিব ও দুস্থ মানুষ এখনও চাল না পেয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। কামারপুকুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বলেন, চাল বিতরণে ঘাটতি পড়ায় ওই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
×