ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ১০ সেপ্টেম্বর ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা দিকে স্থানীয় কুরচাই এমকেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাড়ির উঠানে নলকূপ থেকে পানি আনতে গেলে পার্শ^বর্তী বেলদিয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী (৪৬), রুবেল (২০) এর নেতৃত্বে ২/৩ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ওই স্কুলছাত্রীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে অপহরণ করে বকুলতলা-কদমতলী রাস্তার পাশের্^ কডরবিল এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তিনঘণ্টা পরে রাত ১১টার দিকে ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা ও প্রায় অচেতন অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। ধর্ষিতা, ধর্ষিতার পিতা, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকবর মিয়া শুক্রবার এ ঘটনায় পাগলা থানায় মামলা করতে গেলে পাগলা থানার ওসি চাঁন মিয়া তাদের ৩/৪ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে তাদের সামনেই মোবাইল ফোনে কুরচাই গ্রামের বালু ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার জামাল নামে এক ব্যক্তিকে দুইদিনের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার করতে বলে। ধর্ষিতার পিতাকে জামাল ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে পাগলা থানার ওসি তাদের থানা থেকে বিদায় দেয়। ধর্ষিতার ভাই অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাদের মাথা কেটে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ঠিকাদার জামাল উদ্দিন স্বীকার করে বলেন, পাগলা থানার ওসি চাঁন মিয়া তাকে এ ঘটনা মীমাংসা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমনিতেই মান সম্মান গেছে। এ নিয়ে হৈচৈ করলে মেয়ের মান সম্মান আরও যাবে। পাগলা থানার ওসি চাঁন মিয়া বলেন, ধর্ষণ নয়, ধস্তাধস্তি-টানা হেচঁড়া, কাপড় ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা হতে পারে। স্থানীয়ভাবে আপোস-মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছি।
×