ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জিয়ার স্বাধীনতা পদক বাতিল যৌক্তিক ॥ বাদশা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জিয়ার স্বাধীনতা  পদক বাতিল যৌক্তিক ॥  বাদশা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না জিয়াউর রহমানের। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগী হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তিনি মীরজাফরে পরিণত হন। আর সে কারণেই তার স্বাধীনতা পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। শনিবার রাজশাহীতে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সব সুবিধা গ্রহণ করে ক্ষমতার শীর্ষে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন জিয়া। এতে প্রমাণিত হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার এক ধরনের মদদ ছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা দখলের পর সব স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানপন্থীদের তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সুবিধা প্রদানের সুযোগ করে দেন। ফজলে হোসেন বাদশা গোলাম আযমের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, জিয়া শুধু যুদ্ধাপরাধীদের প্রধান এই নেতাকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগই করে দেননি, তিনি তাকে নাগরিকত্ব দিয়ে আইডিএল নামে জামায়াতে ইসলামীকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার পেছনে মদদ যোগান। স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দালাল শাহ আজিজুর রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করে তিনি ৩০ লাখ শহীদকে অবমাননা করেন। এসব তৎপরতার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশকে একাত্তরের চেতনার বিরুদ্ধে নেয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করেন বলে দাবি করেন বাদশা। তিনি আরও বলেন, এখনও খালেদা জিয়ার প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা ও জামায়াতকে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক বন্ধু হিসেবে ঘোষণা প্রমাণ করে, জিয়ার যেমন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না, তেমনই বর্তমানে তার দলও একই অবস্থানে রয়েছে। ফজলে হোসেন বাদশা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির তৎপরতা মোকাবেলার জন্য তাদের অপপ্রচারের বিপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের তৃণমূলে কাজ করার তাগিদ দেন।
×