নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১০ সেপ্টেম্বর ॥ থেকে জানান, লালুয়ার রামনাবাদ পাড়ের এবং মহিপুরের আন্ধারমানিক নদী তীরের ১৫ গ্রামের মানুষের মধ্যে নেই ঈদের কোন উৎসব। শতকরা ৭০ ভাগ পরিবার কোরবানির পশু জবাই করতে পারছেন না। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা এসব গ্রামের অন্তত তিন হাজার কৃষক পরিবারে ঈদের উৎসব তো দূরের কথা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হারিয়ে ফেলেছে। বরাবর যেসব পরিবার কোরবানির পশু জবাই করতেন তারাও এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। বছরের পর বছর জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় পানিবন্দী থাকায় জমি-জিরেত সব অনাবাদি পড়ে আছে। ধান থেকে রবিশস্য উৎপাদন করতে পারছে না। অবস্থাপন্ন পরিবারও এখন নিঃস্বদের কাতারে। বাঁধ ভাঙ্গা এ জনপদের মানুষগুলোর দুর্ভোগ এখন স্থায়ী দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। কোরবানির পশু জবাই তো দূরের কথা ঈদের নামাজ (জামাত) পড়ার মতো জায়গা পর্যন্ত শুকনো নেই এসব গ্রামে। সব পানিতে থৈ থৈ করছে। চারিপাড়া গ্রামের মন্নান হাওলাদার, নিজাম হাওলাদার, জোনাব আলী জানান, ফি-বছর ছোট-বড় সবাই মিলে ভাগে গবাদিপশু কিনে কোরবানি দিতাম। একই অবস্থা মহিপুরের নিজামপুরসহ চারটি গ্রামের কৃষকের। নিজামপুর গ্রামের সেরজন মৃধা, সিদ্দিক মুন্সি, নুরদারাজ খলিফা, আনোয়ার হোসেন ফরাজী, সুলতান ফরাজী জানালেন, তারা যুগের পর যুগ ফি-বছর কোরবানির পশু জবাই করতেন। ঈদের দিন স্ত্রী-সন্তান, স্বজনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতেন। কিন্তু এ বছর আর পারছেন না। কারণ তাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: