ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলোচনায় ‘মাটির পাখি’

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আলোচনায় ‘মাটির পাখি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জন্মের সময় মা হারানো এক কিশোর রাজা। বাবা শহরের পরিচ্ছন্ন কর্মী। মা মারা যাবার পর বাবা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সংসারে নেমে আসে অশান্তি। অনুষঙ্গ অন্যান্য কারণের মধ্যে রাজার বাবার দাম্পত্য জীবনের অক্ষমতা, যার বিপরীতে রাজার সৎ মায়ের পরকীয়া প্রেম। এই নিয়ে চরম অশান্তির সংসারে সদ্য কৈশোরে উত্তীর্ণ রাজা প্রায়ই নানা অছিলায় সৎ মায়ের নির্যাতনের শিকার। বাবার সঙ্গে সে নগরের নানান অচেনা জায়গায় ঘুরতে গিয়ে হরেকরকম মাটি সংগ্রহ করে। এই মাটি দিয়ে অবসর সময়ে সে তার স্বপ্নের পাখি বানায়। রাজা বিশ্বাস করে এই মাটির পাখি তার মনের সকল কথা জানে। এছাড়া সময় পেলেই বস্তির সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে সে খেলা করে। প্রতিবেশী মধ্যবিত্ত পরিবারের এক অটিস্টিক কিশোরী স্কুলে যাবার পথে প্রায়ই রাজাদের খেলা দেখে। সমবয়সী শিশুদের খেলা দেখে দেখে ওই কিশোরী ঘরে বসে একা একা ছবি আঁকে। একদিন রাজাকে সে নিজের আঁকা কিছু ছবি উপহার দেয়। জবাবে রাজা তাকে নিজের হাতে বানানো মাটির পাখি উপহার দেয়। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘মাটির পাখি’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মামুনুর রশীদ।
×