ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রায়ান ফাং (ওয়াশিংটন পোস্ট)

বড় ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের কাছে মার খেল অন্যরা

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বড় ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের কাছে মার খেল অন্যরা

কমকাস্ট ও টাইম ওয়ার্নার কেবলের মতো বড় বড় সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম ইন্টারনেট সার্ভিস গড়ে তুলতে আমেরিকার নগরীগুলোকে সাহায্য করার একটা উদ্যোগ চলছিল। উদ্যোগটা নিয়েছিল মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন। কিন্তু অতি সম্প্রতি কমিশনের এই উদ্যোগ বড় ধরনের মার খেয়েছে। ফেডারেল কোর্ট এক সিদ্ধান্তে জানিয়ে দিয়েছে যে পাবলিকের দ্বারা পরিচালিত সস্তা ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের প্রসার ব্যাহত করতে পারে এমন কিছু করার বিশেষত রাজ্যের আইন-কানুন বিঘিœত করার ক্ষমতা তাদের নেই। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ফেডারেল সংস্থাটির বড় ধরনের পরাজয় ঘটল। কারণ গত বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্থাটি ‘প্রতিযোগিতাকে’ আক্ষরিক অর্থে একটা মন্ত্রে পরিণত করেছিল। কমিশনের চেয়ারম্যান টম হুইলার সুযোগ পেলেই শব্দটার পুনরাবৃত্তি করতেন। এখন আদালতের রায়ের ফলে বড় বড় ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা আগের মতোই কতিপয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চলবেন। টেনিসির চাট্টানুগার ইলেকট্রিক পাওয়ার বোর্ড (ইপিবি) এবং নর্থ ক্যারোলিনার উইলসন নগরীর মতো কিছু কিছু জনপ্রিয় নগরী-মালিকানাধীন ব্রডব্যান্ড অপারেটরদের হুমকির হাত থেকে তাদের এসব সুযোগ-সুবিধা রাজ্যের আইন বলে সংরক্ষিত ছিল। ইপিবির মাধ্যমে চাট্টানুগার অধিবাসীরা মাসে ৭০ ডলারে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবাইট স্পিডে ডাউনলোড করার সুবিধা পেয়ে আসছে। ইপিবির সার্ভিস এলাকার বাইরের লোকেরা পাবলিক ইউটিলিটি থেকে এই সুবিধাটি সম্প্রসারণের জন্য বার বার অনুরোধ জানিয়ে এসেছিল। কিন্তু টেনিসির রাজ্য আইনসভার বেঁধে দেয়া ভৌগোলিক বিধি-নিষেধের কারণে আরও বেশি গ্রাহকের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে ইপিবির আইনগত বাধা ছিল। গত বছর ইপিবি এবং অন্যান্য পৌর ব্রডব্যান্ড প্রোভাইডাররা তাদের পক্ষে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য ফেডারেল কমিউনিকেশনস্্ কমিশনের প্রতি আহ্বানে জানালে কমিশন রাজি হয়। কংগ্রেসের সনদের একাংশকে কাজে লাগিয়ে কমিশন রাজ্যগুলোর এই সংক্রান্ত আইন-কানুন নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। তখন রাজ্যগুলো এফসিসির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। তারা বলে যে রাজ্যসমূহ ও তাদের এখতিয়ারাধীন নগরীগুলোর মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে তার মাঝখানে আসার কোন অধিকার কমিশনের নেই। কিন্তু ফেডারেল আদালতের রায়ে ফেডারেল সরকারের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টার রাশ টেনে ধরা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান টম হুইলার বলেন যে, মামলার এই রায়ের ফলে টেনিসি ও নর্থ ক্যারোলিনায় কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এবং সমাজকে যে ব্রডব্যান্ড সুবিধা দেয়া হতো তা সঙ্কুুচিত হয়ে যাবে। বলাবাহুল্য হুইলার নিজে ডেমোক্র্যাটদলীয়। অন্যদিকে একই কমিশনের সদস্য রিপাবলিকানদলীয় অজিত পাই বলেন, ‘কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত প্রকাশ করে গত বছর আমি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম যে টেনিসি ও নর্থ ক্যারোলিনার এই সংক্রান্ত আইন বাধাগ্রস্ত করার কোন ক্ষমতা কমিশনের নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে তা হবে রাজ্যের সার্বভৌমত্বের কতিপয় মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে অগ্রাহ্য করা।
×