সবদিনই তো ঈদের জীবন
রবিউল হুসাইন
বুলি বাবুল দু’ভাই বোন
থাকে রেলের বস্তিতে
ঝিক্ ঝিক্্ করে রেলগাড়ি যায়
তবুও ঘুমায় স্বস্তিতে
ঝুপড়ির পাশেই রেলের লাইন
চলে গেছে বহুদূর
দিনে রাতে সব সময়েই
রেলের চাকায় লোহার সুর
খটাংখট্্ হু হু শব্দে
ঝ’ড়ো বাতাস কালবোশেখী
ভীষণ বেগে মেলে এক ঝাঁক
ডানা ঝট্্পট্্ উড়াল পাখি
তখন তাদের দুখিনী মা
আস্তে ডাকেন কণ্ঠ মলিন
ওরে ঘুমের থেকে ওঠরে তোরা
আজকে খুশির ঈদের দিন
ছেঁড়া কাঁথা গায়ে টেনে
আস্তে ওরা বলে তখন
মা আমাদের এই বস্তি-গ্রামে
সব দিনই তো ঈদের জীবন।
ঈদের প্রার্থনা
আইরীন নিয়াজী মান্না
ঈদ এলোরে খুশির তোরে
ঈদ এলো ফের ঘরে ঘরে।
শান্তি আসুক সবার মাঝে
শান্তি আসুক সকল কাজে।
সাম্য এবং জয়ের গান
জড়িয়ে রাখুক সব প্রাণ।
হিংসা-লড়াই যাও ভুলে
প্রীতির দরজা দাও খুলে।
ঈদ মানে খুশি
ফারহানা মোবিন
ঈদ মানে খুশি
ঈদ মানে আনন্দ,
গরু ছাগলের সারি
আমার খুব পছন্দ।
ঈদ মানে লেখাপড়া বন্ধ,
বাড়িতে মজার খাবারের গন্ধ।
ঈদ মানে ঘুরে বেড়ানো,
ছাগল কে পাতা খাওয়ানো।
ঈদ মানে গরু ছাগলের হাট,
সবাই মিলে হাতে রাখি হাত।
ঈদ মানে অনেক খুশি,
সবাই কে যেন ভালোবাসি।
ঈদের দিনে পথশিশু
মিলন সব্যসাচী
ঈদের দিনে আজ কেবলই
পড়ছে মনে মাকে,
আড়াল থেকে ‘মা’ আমাকে
খোকন সোনা ডাকে।
মলিন মেঘে মনের আকাশ
কখন গেছে ছেয়ে,
পাই না খুঁজে হারানো সুর
আনন্দের গান গেয়ে।
স্বজন হারা পথশিশু
পথেই থাকি রাতে,
আদর করে কেউ আমাকে
দেয় না খাবার হাতে।
বৃষ্টি ভেজা শীর্ণ শরীর
ছিন্ন বসন গায়,
কোথায় যেনো চলছি ছুটে
নগ্ন দুটি পায়।
মামার ঈদ উপহার
মোশাররফ হোসেন ভূঞা
কিশোরবেলা ঈদের দিনে
ফুটতো খুশির ফুলগুলি,
ভোর-বিহানে ঘুম ভাঙাতো
গানের পাখি বুলবুলি।
মেজমামা বলতো আমায়
দুষ্টুরে তোর ফাল থামা,
তোকে দিলাম ঈদ উপহার
টুকটুকে এই লালজামা।
কপাল জুড়ে মায়ের আদর
গুণ গুনাগুণ সুর তুলে,
বাবার হাতে হাতটি রেখে
যেতাম পথের দূর ভুলে।
ঈদ গায়েতে নামাজ শেষে
মুগ্ধ মধুর মোলাকাত,
সবার দিকে সবাই তখন
দেয় বাড়িয়ে খোলাহাত।
জাগে খুশি
রিফাত নিগার শাপলা
এলো ঈদ, এলোরে
খুকু চোখ মেলোরে।
ওই চাঁদ উঠেছে
মানবতা ফুটেছে।
নিশি ডাকা পাখিরে
করে ডাকা-ডাকিরে।
নেই কোনো চিন্তা
নাচি আয় ধিন-তা।
খেয়ে মিঠা পান রে
গাই সুখে গান রে।
ভুলি সব দ্বন্দ্ব
অতীতের মন্দ।
মিলনের রেশ তো
জাগে খুশি বেশ তো!
শীর্ষ সংবাদ: