ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে কলেজ শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ক্লু মেলেনি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামে কলেজ শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ক্লু  মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কলেজ শিক্ষক ইকবাল হোসেন চৌধুরী (৫২) হত্যার কোন ক্লু এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি। তবে তার স্ত্রী বাদী হয়ে সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানা সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামে। হত্যাকা-ের শিকার এ শিক্ষকের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রাউজান কলেজের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আরাকান সোসাইটি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের জামান ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি পাওয়া যায় বাথরুমে পানির ড্রামে পা বাঁধা অবস্থায়। নিহত ইকবাল হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কন্যা আফিয়া ইকবাল জানান, সকাল আটটার দিকে তিনি তার খালার বাসার উদ্দেশে বের হন। তার আগেই কলেজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তার মা। আর বাবা জামা-কাপড় পরে প্রস্তুত হচ্ছিলেন কলেজে যাবার জন্য। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে তিনি ফিরে বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। কলিং বেল চেপে এবং মোবাইল ফোনে বার বার কল দিয়েও সাড়া-শব্দ পাননি। বিষয়টি আফিয়া তার মাকে জানালে তিনি পাড়া-প্রতিবেশী ও ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীদের ডেকে আনেন। পরে তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বাথরুমের দরজা খোলা পান। সেখানে পাওয়া যায় মরদেহ, যা পানির ড্রামের ভেতরে উপুড় হওয়া অবস্থায় ছিল। পা দুটি বাঁধা ছিল। ঘটনাটিকে রহস্যজনক হিসেবে দেখছে পুলিশ। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে স্থানে যেভাবে ড্রামের মধ্যে দুই পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পাওয়া গেছে সেভাবে কারও আত্মহত্যা করা সম্ভব কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ সম্ভাব্য সবকিছুই যাচাই করে দেখছে। বিশেষ করে অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে কারও কোন শত্রুতা বা বিরোধ রয়েছে কিনা তার অনুসন্ধান চলছে। এদিকে ইকবাল হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
×