ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইবির নিখোঁজ শিক্ষার্থী ৫৩

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইবির নিখোঁজ শিক্ষার্থী ৫৩

ইবি সংবাদদাতা ॥ ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত, মিসিং ও নিরুদ্দেশ শিক্ষার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (িি.িরঁ.ধপ.নফ) এসব শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বিভাগের মধ্যে ১৫ বিভাগের কোন শিক্ষার্থী গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত অনুপস্থিত নেই। পাঁচ বিভাগের মোট ৫৩ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে বলে জানিয়েছেন এসব বিভাগের সভাপতিরা। এসব বিভাগের অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা হলো ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের ১৮ জন, মার্কেটিং বিভাগের ৫ জন, ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৩ জন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১১ জন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ৬ জন। তবে বাংলা ও লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোন তালিকা দেয়া হয়নি। বায়োটেকনোলজি এ্যান্ড জেনেটিং ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিসংখ্যান বিভাগের তালিকা প্রকাশের কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে বিভাগের সভাপতিরা জানিয়েছেন। তালিকা প্রকাশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, প্রাথমিকভাবে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েসসাইটে প্রকাশিত নামের ব্যাপারে কোন শিক্ষার্থীর অভিযোগ থাকলে তারা ঈদের ছুটির পর লিখিতভাবে জানাতে পারবে। এসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নিখোঁজের ৮ দিন পর রমেকের নিখোঁজ ইন্টার্ন নার্সের প্রত্যাবর্তন সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, রংপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্টার্ন নার্স রাজিয়া ৮ দিন পর ফিরে এসেছেন। তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল । তবে তিনি এই ৮ দিন কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজিয়া সুলতানা (২৪) নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে পাস করে রমেক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসের হোস্টেলে থাকতেন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ হোস্টেলে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজ রাজিয়ার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। রাজিয়ার নিখোঁজ হওয়ার খবরটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এদিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করছে, জিডি করার পর থেকে রাজিয়া সুলতানাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রাজিয়া রমেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। তবে এতদিন কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে তিনি কারও কাছে মুখ খোলেননি। তবে রাজিয়া তার নিকটজনদের বলেছেন, কে বা কারা তাকে ভোরে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নামিয়ে দিয়েছে। নার্সিং ইন্সটিটিউটের সুপার পরী বানু জানান, মেয়েটি ফিরে এসেছে। তবে সে কোথায় ছিল এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ রাজিয়া ফিরে এসেছে তারা বিষয়টি শুনেছেন। সে এতদিন কোথায় ছিল পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
×