ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নৌপথে স্পেশাল সার্ভিস শুরু

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নৌপথে স্পেশাল সার্ভিস শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বেসরকারী লঞ্চ ও বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু হয়েছে। এদিকে দিকনির্দেশক বাতি-বয়াসহ সঙ্কেত ব্যবস্থা নাজুক থাকায় বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকা থেকে এমভি বাঙালী ও সাড়ে ছয়টায় এমভি মধুমতি বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস যাত্রা শুরু করেছে। সংস্থার পাঁচটি জাহাজ নিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ এ সেবা অব্যাহত থাকবে। এগুলো হলোÑ পিএস মাহসুদ, অস্ট্রিচ, লেপচা, এমভি মধুমতি ও বাঙালী। এর মধ্যে পিএস টার্ন’র সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব জাহাজ বরিশাল-ঢাকা-চাঁদপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, হুলারহাট ও মোরেলগঞ্জ রুটে চলাচল করবে। অপরদিকে বেসরকারী লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা শুক্রবার থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিসের যাত্রীসেবা শুরু করেছে। ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে এবার ২১টি বিলাসবহুল লঞ্চের মাধ্যমে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে পৌঁছে দেয়া হবে। এগুলো হলোÑ কীর্তনখোলার ২টি, সুন্দরবন কোম্পানির ৩টি, পারাবাতের ৫টি, সুরভীর ৩টি, এমভি টিপু, এমভি ফারহান, দ্বীপরাজ ও কালাম খান। এছাড়া ঢাকা-পটুয়াখালী ভায়া বরিশাল রুটে আরও ৪টি লঞ্চ চলাচল করবে। পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনে গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের দিবা সার্ভিসে নিয়মিত ২টি জাহাজ যুক্ত থাকবে। এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথ ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে ওঠায় চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে মেঘনা নদীর মাঝেরচর (হাইমচর) এলাকায় বয়ায় কোন বাতি নেই। আবার মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে বরিশালে প্রবেশের মুখে মিয়ারচর নামক স্থানে বয়া থাকলেও তাতে কোন বাতি নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নৌযান চলাচল করছে। এছাড়া বরিশালের হিজলা এলাকায় নদীর পাড়ে সাদা ও সবুজ এবং হিজলার ডান পাশের সবুজ সঙ্কেত বাতির জন্য টাওয়ার থাকলেও তাতে বাতি নেই। খেজুরতলা এলাকায়ও লাল, সবুজ সঙ্কেত বাতি থাকার কথা থাকলেও সেখানে বাতি জ্বলছে না। একই ভাবে চরশিবলী পাড়ের লাল ও সবুজ দুটি বাতি, জাঙ্গালিয়া, ভাসানচর, গাজীরচর এলাকায় একটি করে বাতি, শ্রীপুরের মাঝেরচরে চারটি সঙ্কেত বাতি, ফিশারিঘাট পাড়ে তিনটি বাতি জ্বলছে না। যদিও এসব এলাকায় টাওয়ার আছে। এছাড়া দুর্গাপাশা এলাকায় কোন সঙ্কেত বাতিই নেই। পারাবাত-১২ লঞ্চের মাস্টার আবুল কালাম বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে মেঘনা নদীর নমোরহাট থেকে মিয়ারচর ৩০ কিলোমিটার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন কোনদিন নেই এ পথে দুর্ঘটনা ঘটে না। অথচ এখানে কোন সঙ্কেত বাতি নেই। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল অঞ্চলের নৌ সংরক্ষণ বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে সঙ্কেত বাতির কোন সঙ্কট নেই। কিছু জায়গায় বাতি, ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক করার জন্য প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
×