ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছোটখাটো দেশী হামলার মুখে এখনও অরক্ষিত যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ছোটখাটো দেশী হামলার  মুখে এখনও অরক্ষিত  যুক্তরাষ্ট্র

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (৯/১১) হামলার ১৫ বছর পর মার্কিন সন্ত্রাসদমন কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের সুপরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু ছোটখাটো ও বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট হামলার মুখে আগের মতোই অরক্ষিত রয়ে গেছে দেশ। খবর এএফপির। সন্ত্রাসদমন কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে লুকিয়ে থাকা কম কেন্দ্রীভূত আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমর্থকদের পরিকল্পনা উদ্ঘাটন ও নস্যাৎ করতে চাপের মুখে রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। ওয়াশিংটনে এ সপ্তাহে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের পরিচালক নিক রাসমুসেন বিদ্যমান পরিস্থিতি যাচাই করে বলেন, আমাদের কাজকর্ম অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। চরমপন্থীদের পারস্পরিক যোগাযোগের উপায় নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা মার্কিন গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তাদের অনেকে জনপ্রিয় স্মার্টফোনের এ্যাপস ও সহজেই গোপন সংকেত ব্যবহার করে থাকে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে ৯/১১-এর হামলা। এ যুদ্ধে প্রথমে আল কায়েদা ও তালেবানের ওপর দৃষ্টি দেয়া হয়। কিন্তু ১৫ বছর পর মার্কিন সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের লক্ষ্য এখন অন্য একটি গ্রুপ আইএস। এই গ্রুপ ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিয়েছে এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে উৎসাহিত করছে ভূ-খ- দুটির অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের। এদিকে, সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরও আল কায়েদা সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ফিলিপিন্স পর্যন্ত সক্রিয় উভয় দলের শাখাগুলো ও প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এতে আরও জটিল হুমকি দেখা দিয়েছে। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাইবার এ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পরিচালক ফ্রাঙ্ক কিলুফো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ইরাক-সিরিয়া অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের দুষ্ট ক্ষত ছড়িয়ে পড়ছে। এই হুমকি এখনও বিদ্যমান ও কোন কোন ক্ষেত্রে আরও জটিল রূপ নিয়েছে। ২৯ বছর বয়সী আফগান বংশোদ্ভূত এক আমেরিকান নাগরিক চরমপন্থী ইসলামিক স্টেটের অনুগত ছিল। এই আমেরিকান নাগরিক জুনে সমকামীদের অরল্যান্ডোর একটি নাইটক্লাবে গুলি করে ৪৯ জনকে হত্যা করে। গত বছর ডিসেম্বরে এক মার্কিন নাগরিক ও তার স্ত্রী (উভয়ই পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত) ক্যালিফোর্নিয়ার সান বারনাডিনো শহরে একটি ক্রিসমাস পার্টিতে ১৪ জনকে হত্যা করে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তাদের বিশ্বাস তারা আইএসকে পরাজিত করবেন। ফেডারেল ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরিচালক জেমস কমি বলেন, খলিফত বা আইএস গ্রুপ দমনের প্রভাব আগামী পাঁচ বছর এফবিআইকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে। তিনি বলেন, আইএস সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে শত শত সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেবে। আমরা অন্ধকারের দিকে যাচ্ছি। সেখানে আমরা সেসব মানুষ দেখতে পাব না।
×