ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে মেরকেলের মিত্রদের দাবি-‘বোরকা নিষিদ্ধ কর’

মুসলিম শরণার্থীদের জন্য চাই কঠোর আইন

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মুসলিম শরণার্থীদের জন্য চাই কঠোর আইন

জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের বেভারিয়ান মিত্ররা জার্মানিতে কঠোর অভিবাসন আইন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। এ আইনে ইউরোপের খ্রীস্টান পশ্চিমা কৃষ্টি প্রভাবিত ইউরোপের অঞ্চল থেকে আগত অভিবাসীদের প্রতি আনুকূল্য দেখানো হোক বলেও দাবি করা হয়েছে । খবর এএফপির। ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) দলটি মসলিমদের জন্য বোরকা পরা সিষিদ্ধ করা, দ্বৈত নাগরিকত্বের অবসান, নবাগতদের সামাজিকভাবে একীভূত হওয়া ও জার্মান ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা, এক বছরে আশ্রয়প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা ২ লাখ বলে সীমিত করার জন্য কঠোর আইন তৈরি করার দাবি জানিয়েছে। দলটি এসব দাবি সংবলিত এক অভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কিত দলিল এক বৈঠকে পেশ করবে। বৈঠক শুক্রবার শুরু হওয়ার কথা। জার্মানির এক অঙ্গরাজ্যে ডানপন্থী ও অভিযান-বিরোধী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি এএফডি পার্টির কাছে মেরকেলের দল হেরে যাওয়ার দিন কয়েক পর ঐ পদক্ষেপ নেয়া হলো। জার্মানির জাতীয় নির্বাচন হতে আর প্রায় বছর খানেক বাকি। মেরকেল ইসলামবিরোধী এএফডির ভাবনা গ্রহণ করার বিরুদ্ধে বুধবার সব রাজনৈতিক দলকে সতর্ক করে দেন। দেশের শরণার্থী সঙ্কটের মধ্যে মেরকেলের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী রয়েছে। কিন্তু তার কোয়াশিলন মিত্র সিএসইউ’র পাঁচ পৃষ্ঠার ঐ দলিলে সুর নরম করা হয়নি। এতে জার্মানি অবশ্যই জার্মানিই তাকবে বলে ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, আমরা চাই না, আমাদের আকর্ষণীয় দেশটি অভিবাসন ও শরণার্থী স্রোতে বদলে যাক। সিএসইউ রক্ষণশীল ও ক্যাথলিক প্রধান দক্ষিণাঞ্চলীয় বেভারিয়া অঞ্চলেই সক্রিয়। এক বছর আগের শরণার্থী দলের কোন পরিস্থিতিতেই পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া যাবে না বলে দলিলটিতে দাবি জানানো হয়। তখন প্রতিদিন হাজার হাজার শরণার্র্র্র্থী বেভারিয়ার মধ্য দিয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করে। সিএসইউর দাবি হলো এখন থেকে জার্মানি অবশ্যই প্রতিবছর গ্রহণযোগ্য শরর্ণাথীর সংখ্যা দু’লাখে সীমিত করে দেবে, অন্যথায় আমাদের খ্রীস্টান পশ্চাত্য কৃষ্টি প্রভাবিত অঞ্চলের অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেবে। দলিলে বলা হয়, রাষ্ট্র কাকে গ্রহণ করবে তা অবশ্যই রাষ্ট্র স্বয়ং স্থির করবেÑ সেই সিদ্ধান্ত অভিবাসীরা নেবে না। এতে বোরকা সিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে একে ‘ইসলামী ইউনিফর্ম’, একীভূতকরণের পথে এক বিরাট বাধা এবং আমাদের সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্য নয় এমন নারী নির্যাতনের প্রতীক বলে অভিহিত করা হয়। এতে বলা হয়, যারা বোকরা ও নেকাব ছাড়া বাস করতে চান না, তাদের অন্য দেশ দেখা উচিত। দলটি ইউরোপ অভিমুখে শরর্ণাথী স্রোত বন্ধ করতে এক চুক্তির অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি এবং ইইউ ভ্রমণের ভিসা সহজে পাওয়ার সুবিধা তুর্কি নাগরিকদের প্রদানের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করে। দলিলে এএফডি এবং এমন কি চরম ডানপন্থী আন্দোলন পেজিডার কিছু কিছু বড় দাবির প্রতিধ্বনি করা হয়। শরণার্থী ঢলের প্রেক্ষাপটে উভয় দলেরই জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
×