ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ বিদেশী সিগারেটের চোরাচালান

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ বিদেশী সিগারেটের  চোরাচালান

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়ে চলছে অবৈধ চোরাই সিগারেটের বাজার। চেরাকারবারিরা শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অবৈধ পথে এসব সিগারেট এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যার প্রভাবে এখন শহর থেকে গ্রাম সবখানে মিলছে চোরাই সিগারেট। চট্টগ্রামে চোরাই সিগারেট জব্দের পরিসংখ্যানও একই তথ্য দিচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই এখানে আটক হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৮ কার্টন অবৈধ বিদেশী সিগারেট। এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাস্টমসের গোয়েন্দা শাখা বড় ধরনের একটি চালান আটক করে, যাতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৫৫ হাজার ২০০ মেগা কার্টন অবৈধ সিগারেট ছিল। চেরাকারবারিরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, চীন, দুবাই ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সমুদ্রপথ, বিমানবন্দর ও স্থলপথে অবৈধভাবে এসব সিগারেট আনছে বলে জানা গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ কাজে দেশের শীর্ষস্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী জড়িত। এদিকে, রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় অবৈধ সিগারেট এনে অনেকটা প্রকাশ্যে বাজারে ছড়িয়ে দিলেও এটি প্রতিরোধে তেমন কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজস্ব আদায় এবং বেড়ে চলেছে ধূমপান প্রবণতা। সম্প্রতি মিয়ানমার হয়েও আসছে এসব সিগারেট। স্থলপথে মিয়ানমার হয়ে যেসব সিগারেট আসছে এর অধিংকাংশ নকল সিগারেট। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের একটি অসাধু চক্র বিভিন্ন দেশের নামীদামী সিগারেটের নামে নকল সিগারেট তৈরি করে চোরাই পথে বাংলাদেশে সরবরাহ করছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (বিমানবন্দর) আহসান উল্লাহ তরুণ বলেন, ‘সিগারেট সরকারের রাজস্ব আদায়ের অন্যতম খাত। কিন্তু চোরাই পথে সিগারেট আসায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশীয় সিগারেটের প্যাকেটে বাধ্যতামূলক সচিত্র সর্তকবার্তা সংযোজনের পর অবৈধ পথে সিগারেট আসা বেড়েছে। ফলে এখন দিন দিন এ খাতে রাজস্ব ঘাটতিও বাড়ছে।’
×