ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ কোটি ডলার  দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলেজপর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ উপলক্ষে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ আলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদসহ অন্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাহিদ হোসেন বলেন, কলেজপর্যায়ে এই প্রথম বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিচ্ছে। এ দেশে বিশ্বব্যাংকের মোট যে পরিমাণ বরাদ্দ রয়েছে, তার ১৯ শতাংশ হচ্ছে শিক্ষা খাতে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চলমান রয়েছে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও সকল শিক্ষা খাতে সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। কাজী শফিকুল আযম বলেন, প্রকল্পটি ডিএলআই (ডিসবার্সমেন্ট ইনডিকেটর লিংক) ভিত্তিক। অর্থাৎ টার্গেট পূরণ করতে পারলেই কেবল নির্ধারিত অর্থ ছাড় করা হবে। এটি প্রকল্পের গুণগতমান নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় এক হাজার ২৪০ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের আইডিএ অর্থায়নের এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। তবে চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি শূন্য শতাংশে নির্ধারিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি সরকারী কলেজগুলোর ২ হাজার ৭০০ শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে সাহায্য করবে। প্রকল্পটি শিক্ষকদের উন্নয়নে সাহায্য করবে এবং জাতীয় প্রশিক্ষণ সংস্থা ও নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ সংস্থা স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কলেজশিক্ষক ও পরিচালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং বিশ্বের সেরা শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
×