ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রয়োজন জরুরী অভিযান লবণের সঙ্কট কৃত্রিম, সিন্ডিকেটের কারসাজি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রয়োজন জরুরী অভিযান লবণের সঙ্কট  কৃত্রিম, সিন্ডিকেটের  কারসাজি

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ আসন্ন কোরবানির ঈদে জবাই করার পর পশুর চামড়া সংরক্ষণে বাড়তি লবণ চাহিদাকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর মওসুম শেষে দেশে সর্বমোট লবণ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন। অথচ, দেশে লবণের মোট চাহিদা রয়েছে বার্ষিক সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টনের সামান্য বেশি। অর্থাৎ, উৎপাদিত লবণ চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি হয়েছে। এ তথ্য বিসিকের। উল্লেখ্য, দেশে উৎপাদিত লবণের ৯০ ভাগ যোগান দেয় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী। মাত্র এক বছরের মাথায় লবণের বর্তমান বাজারমূল্য দ্বিগুণে উন্নীত হওয়ায় আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ফলে সরকার বিদেশ থেকে আবারও লবণ আমদানির সুযোগ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লবণের বাজারমূল্য না কমলে ইতোপূর্বে যে দেড়লাাখ টন আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল তার উপর আরও বাড়তি একলাখ টন আনার সুযোগ দেয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে তথ্য মিলেছে, লবণ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সিন্ডিকেট লবণ গুদামজাত করে রাখার কারণে কৃত্রিম সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যেখানে প্রতিকেজি লবণের মূল্য সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ টাকা হওয়ার কথা ছিল সেখানে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে লবণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।
×