ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘরোয়া আসরে বিদেশী ফুটবলার কমাতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঘরোয়া আসরে বিদেশী ফুটবলার কমাতে হবে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ পর্যন্ত সাতটি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। (কাতার, নামিবিয়া, জিম্বাবুইয়ে, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, মালাউয়ি ও টোগো)। এছাড়া নাইজিরিয়া দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন এক বছর (২০১২)। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ১৬ ক্লাব দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে কোন দলের সঙ্গেই বেশিদিন কাজ করতে পারেননি স্বল্পমেয়াদে চুক্তির কারণে। এখানে লক্ষ্যণীয় তিনি কখনও ছাঁটাই হননি। জাতীয় দল-ক্লাব মিলিয়ে ২৩ দলের হয়েও কোচ হিসেবে এতটা কঠিন সময় পার করেননি এবং প্রবল চাপের মুখোমুখি হননি তিনি, এখন যেমনটা পার করছেন এবং চাপ সামলাচ্ছেন। কি সেই চাপ? ‘এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্স (প্লে অফ)’ পর্বে ভুটানকে প্রথম লেগের ম্যাচে না হারাতে পারার ব্যর্থতা এবং দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে তাদের মাটিতে খেলে জয় বা কমপক্ষে ১-১ গোলে জিতে কোয়ালিফাই করা যাবে কিনাÑ সেই চাপ। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে কোয়ালিফাই করার বিষয়টিকে অনেক কঠিন করে ফেলেছে সেইন্টফিটের শিষ্যরা। ম্যাচে তারা সবই করেছে, শুধু গোল করা ছাড়া। এ বিষয়টিই ভাবাচ্ছে ৪৩ বছর বয়সী বেলজিয়ান কোচকে। বুধবার রাতেই টম চলে গেছেন নিজ দেশে। ঢাকায় ফিরবেন ১৯ সেপ্টেম্বর। যাওয়ার আগে মঙ্গলবার তিনি সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সেই সঙ্গে বুঝে নেন নিজের বেতনটাও (বাকি সব বিদেশী কোচিং স্টাফসহ)। কি কথা হলো সালাউদ্দিনের সঙ্গে? ‘বাফুফে সভাপতি দেশের বাইরে ছিলেন। তাই এ কদিন তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারিনি। আজ ভুটানের ম্যাচ নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কবে থেকে আবার ক্যাম্প শুরু করব। পরিকল্পনা কি, এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে।’ টমের জবাব। ভুটানের সঙ্গে ড্র করা ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারের খেলায় অনেক সুযোগ ছিল গোল করার। প্রথম ১৫ মিনিট এবং শেষের ৫ মিনিটে অন্তত তিনটি করে গোলের সুযোগ এসেছিল। গোল না করতে পারাটা বেশ সমস্যার।’ তাই আগামী ম্যাচে (এ্যাওয়ে) এ বিষয়টা নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন টম, ‘আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে লীগ শুরু হলে আমি ঢাকায় ফিরব। লীগের ম্যাচ দেখে প্রতি পজিশনেই নতুন ফুটবলার খুঁজব। বিশেষ করে স্ট্রাইকার পজিশনে।’ দলের প্রতি ফুটবলারের নাম এবং তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে যেভাবে অবলীলায় বলে যাচ্ছিলেন টম, তাতে মনে হয়েছে এদেশের ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেন তিনি, ‘রনি জাতীয় দলে ১৫ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করেছে। ১৮-১৯ বছরের ছেলে আবদুল্লাহ্। কঠোর পরিশ্রম করে সে। রুবেল মিয়া, জাফর ইকবাল ৭০ মিনিট পর্যন্ত ভাল খেলেছে ম্যাচে। তবে আমাদের ফুটবলারা ফিজিক্যালি এখনও অনেক পিছিয়ে ভুটানের খেলোয়াড়দের চেয়ে।’ ভুটানের ম্যাচে স্ট্রাইকারদের গোল মিসের জন্য তাদের দোষারোপ করতে চান না, ‘স্ট্রাইকারদের দোষ নেই। কারণ তারা যদি ক্লাবের হয়ে লীগে না খেলার সুযোগ পায় তাহলে জাতীয় দলে কিভাবে ভাল পারফর্ম করবে? এ জন্য ক্লাব ফুটবলে বিদেশী ফুটবলার আনা কমানো উচিত।’ স্ট্রাইকার সঙ্কটে নাম উঠেছে এমিলি-এনামুলদেরও। তাদের মতো সিনিয়র ফুটবলার যাদের একটু বয়স হয়ে গেছে তারাও কি ঠাঁই পেতে পারে সেইন্টফিটের দলে? ‘অবশ্যই। বয়স বা নাম নয়। আমি দেখব পারফর্মেন্স। যে ফুটবলার ফিট ও স্কোর করতে পারে। যে দেশের জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখে।’ ঠাট্টাচ্ছলে সেইন্টফিট বলেন, ‘আমার স্কোরার দরকার। যদি বাফুফে সভাপতিও ফিট থাকেন আর তিনি যদি খেলতে চান তাহলে প্রয়োজনে তাকেও সেরা একাদশে রাখব।’
×