ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধ্বংসাত্মক বোমা হামলার জন্য ওবামার দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ধ্বংসাত্মক বোমা হামলার জন্য ওবামার দুঃখ প্রকাশ

ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালে লাওসে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক বোমাবর্ষণের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে গিয়ে লাওসকে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক বোমা হামলার শিকার দেশ বলে বর্ণনা করেন তিনি। খবর বিবিসির। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত লাওসে গড়ে প্রতি মিনিটে আটটি করে প্রায় ২৮ কোটি ৮০ লাখ ক্লাস্টার বোমা বর্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্র। পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা মোট বোমার চেয়েও এ সংখ্যা অনেক বেশি। লাওসের এক বাসিন্দার বর্ণনানুযায়ী ‘বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ’ করা হয়েছিল। লাওসের ভিতর দিয়ে উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বাহিনীকে দক্ষিণ ভিয়েতনামে প্রবেশে বাধা দিতে গোপনে এই ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র লাওসে পাঁচ লাখ আশি হাজার ৩৪৪টি বোমা হামলা মিশন পরিচালনা করেছিল। বর্ষণ করা বোমাগুলোর অধিকাংশই ক্লাস্টার বোমা ছিল। এগুলোর ৩০ শতাংশ এখনও অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যাওয়ায় নিরীহ মানুষের জীবনহানির কারণ হচ্ছে। লাওসের ১৮টি প্রদেশের মধ্যে ১০টিকে অবিস্ফোরিত বোমার কারণে ‘মারাত্মক দূষিত’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। লাওসের এই ‘ক্ষত’ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘নৈতিক বাধ্যবাধকতা’ আছে মনে করেন বলে জানিয়েছেন ওবামা। আগামী তিন বছরে ক্লাস্টার বোমা ও অন্যান্য অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করে সরিয়ে নিতে প্রায় নয় কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। এসব বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে গেল ২০ বছরে আরও ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে। মাইন ক্লিয়ারিং এজেন্সিগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ২৮ কোটি ৮০ লাখ বোমার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর লাওসজুড়ে সাত কোটি ৫০ লাখ বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় এখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে।
×