ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চেয়ারম্যান ও এমডি শক্ত হাতে হাল ধরলেন রূপালী ব্যাংকের

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চেয়ারম্যান ও এমডি শক্ত হাতে হাল ধরলেন রূপালী ব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাদা মনের মানুষ মনজুর হোসেন। তিনি রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। রূপালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে সততা, সক্ষতা এবং সফলতার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। চাকরি জীবনে কোন ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আপোস করেননি তিনি। ব্যাংকে এসেও তার সততার সত্তা অব্যাহত রেখেছেন। ঋণ বিতরণ, আদায়, রেমিটেন্স সংগ্রহ, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক কর্মকা-ে অগ্রগতি এনেছেন। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার এ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ আতাউর রহমান প্রধান। তিনি ব্যাংকে যোগদানের পর কিভাবে ব্যাংকটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে জোরে সোরে কাজ শুরু করেছেন। রূপালী ব্যাংকে এ দুই নেতার নেতৃত্বেই ব্যাংকটি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। রূপালী ব্যাংকের একাধিক গ্রাহকরা বলছেন, চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন শক্ত হাতে ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন। তাকে সহায়তা করছেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং দক্ষ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আতাউর রহমান প্রধান। আতাউর রহমানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়, ব্যবসা বৃদ্ধি এবং ব্যাংকের মানবসম্পদের যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চেয়ারম্যান জোরেসোরে মাঠে নেমেছেন। জানা গেছে, রূপালী ব্যাংকের পর্ষদ ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ব্যাংক থেকে কোন ঋণ বিতরণ করা হলে তা শাখা থেকে শুরু করে, জোনাল অফিস, বিভাগীয় কার্যালয়, ম্যানেজমেন্ট কমিটি হয়ে পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ঋণ প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে পাস করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কাগজপত্র বা মর্টগেজ এবং গ্যারান্টি নেয়া হয়। ঋণ প্রস্তাবের বিপরীতে যদি পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট না থাকে তাহলে পর্ষদ ঋণ প্রস্তাবটি নাকোচ করে দেয়। এতে করে রূপালী ব্যাংক থেকে কোনভাবেই ভুয়া ঋণ বা অনৈতিক ঋণ অথবা যে ঋণের বিপরীতে তেমন কোন ডকুমেনট নেই সেগুলো কোনভাবেই পাস করা হয় না। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। সম্প্রতি মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ নামের চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়ার জন্য রূপালী ব্যাংকের পর্ষদে উত্থাপন করা হয়। কিন্তু ঋণ গ্রহণের বিপরীতে ওই প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন ডকুমেন্ট না থাকায় প্রস্তাবটি পাস না করে চট্টগ্রাম থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার সিদ্ধান্ত দেয় পর্ষদ। এই কোম্পানির দুর্বল ডকুমেন্ট থাকার কারণে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ব্যাংকের ঋণ বিতরণের বিপক্ষে অবস্থান নেন। যাতে কোনভাবেই ঋণ বিতরণে অনিয়ম না হয়। অথচ একটি কুচক্রী মহল রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চক্রান্ত করে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন একজন সাদা মনের মানুষ। ব্যাংকের পর্ষদ মিটিং ছাড়া তিনি ব্যাংকে আসেন না। ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ তার দ্বারা হয় না। ব্যাংকের উন্নয়নের জন্য তিনি নিবেদিত। ঋণ বিতরণ, আদায়সহ ব্যাংকের সামগ্রিক কর্মকা-ে তিনি স্বচ্ছতা ফিরিয়ে এনেছেন। বিষয়টি ব্যাংকের অভ্যন্তরে ও বাইরে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঋণ বিতরণ, কোন পার্টিকে কাজ দেয়া, বিজ্ঞাপন দেয়াসহ কোন বিষয় চেয়ারম্যানের কোন তদবির নেই। নেই কোন উচ্চ বিলাসিতাও তার। এ ব্যাপারে রূপালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাক খায়রুল হোসেন রাজু বলেন, মনজুর হোসেন স্যার একজন সৎ মানুষ। আমার জানামতে তিনি রূপালী ব্যাংকে এসে কোনভাবেই অনিয়মের সঙ্গে আপোস করেননি। কোন বিষয় তদবির এবং কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার ব্যক্তিগত কাজ বা অনৈতিক কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করেননি। তিনি ব্যাংকে যোগদানের পর থেকেই ব্যাংকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যাংকিং ইতিহাসে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।
×