ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কিন্ডারগার্টেন যাচাইয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে ঐক্য পরিষদ

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কিন্ডারগার্টেন যাচাইয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে ঐক্য পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাইয়ে গঠিত সরকারী টাস্কফোর্স বাতিলের দাবি তুলেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স গঠনের তিন সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের এ সংগঠনের নেতারা বলেছেন, টাস্কফোর্স বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে নিবন্ধন নীতিমালার সংশোধিত বিধিমালা ২০১২-এর আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া গতিশীল করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দায়িত্বহীনতারও অভিযোগ এনেছে ঐক্য পরিষদ। এর আগে গত ১৬ আগস্ট অনুমোদন ছাড়া ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাই করে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার। বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তিন ধরনের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করে। আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সগুলোকে এক মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ৪ বছর আগে নিবন্ধন বিধিমালা জারি করলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন সরকারের নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। দেশে কতগুলো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে তার সঠিক তথ্যও সরকারের কাছে নেই। এমন এক অবস্থায় মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, আশা করা হয়েছিল যে জারিকৃত বিধিমালার আলোকে নার্সারি, প্রিপারেটরি বা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে। কিন্তু বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারী উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায় এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্য বইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হচ্ছে। টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনসহ সব ধরনের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভাগীয় উপ-পরিচালকসহ সহকারী পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারদের বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঐক্য পরিষদ সভাপতি ইসকান্দার আলী, উপদেষ্টা একেএম ফজলুল হক, সহসভাপতি এমএ রশিদ মিয়া, আশরাফ আলী মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
×