ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কমিটির আকার হবে ৮১

আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী ২২-২৩ অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদই নয়, কলেবর বাড়ছে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, থানা, জেলা ও মহানগর কমিটির। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করা হচ্ছে। জাঁকজমক ও দৃষ্টিনন্দন জাতীয় সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সম্মেলন প্রস্তুতি উপ-কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবদের নিয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই যৌথ সভার মূল এজেন্ডাই ছিল আগামী জাতীয় সম্মেলন। এবার আর সম্মেলনের তারিখ পেছানোর সম্ভাবনা নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২২-২৩ অক্টোবরে সম্মেলন সম্পন্ন করার সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। আগের তারিখ পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ ও ১১ জুলাই এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে বৈরী আবহাওয়া, মুষলধারে বৃষ্টি আর ঈদ থাকার কারণে সম্মেলন পেছাতে হয়েছে। কিন্তু এবার আর পেছানো হবে না। সেজন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই যার যা দায়িত্ব তা শেষ করতে হবে। আওয়ামী লীগের সুবিশাল ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও দীর্ঘ সংগ্রামের বিষয়টি মাথায় রেখেই সব প্রস্তুতি নিতে হবে। বৈঠকে ইতোপূর্বে সম্মেলন সম্পন্ন করতে গঠিত উপ-কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবারে দলের কাউন্সিলরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে বৈঠকে বলা হয়। বৈঠকে একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি কিছুটা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন। সেক্ষেত্রে ’৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পরিধি ৮১তে উন্নীত করার প্রস্তাব এলে বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতাই তাতে সমর্থন জানান। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শুধু কেন্দ্রীয় কমিটিই নয়, একইহারে দলের সব পর্যায়ের কমিটির পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতিম-লীর সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য পদের সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হবে। বৈঠকে জানানো হয়, জাতীয় সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির উত্তর এলেই বিদেশী অতিথিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিদেশী অতিথিদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বৈঠকে সম্মেলনের মঞ্চ, সাজ-সজ্জাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডাঃ দীপু মনি, ড. আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন এবং প্রস্তুতির রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। বৈঠকে ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে আলোচনা হয় এবং দাখিলকৃত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী দু’একদিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বৈঠকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ড. গওহর রিজভী, ড. মশিউর রহমান, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, নূহ উল আলম লেনিন, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সতিশ চন্দ্র রায়, কে এম শফিউল্লাহ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, রহমত আলী, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×