ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ সফরে সব ক্রিকেটার দলে চান ইংলিশ কোচ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ সফরে সব ক্রিকেটার দলে চান ইংলিশ কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিয়মিত সব ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফর করবে, এমন প্রত্যাশা ইংল্যান্ড প্রধান কোচ ট্রেভর বেইলিসের। মূল কারণ, বাংলাদেশ থেকেই সরাসরি ভারতে উড়ে যাবে ইংলিশরা। কোন প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই সেখানে শক্তিধর প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে হবে। তাই নিয়মিত পারফর্মাররা বাংলাদেশে না এলে দল গড়তে সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করছেন ‘হাইপ্রোফাইল’ বেইলিস, ‘দুটি সফরের মাঝে কোন গ্যাপ নেই। প্রথমে একটা দল বেছে নিয়ে, সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটা দল গড়া একটু কঠিনই হবে। এটা মূলত নির্ভর করবে, কে যেতে চায় আর কে চায় না। আমি চাইব শেষ পর্যন্ত উভয় সফরের জন্য একটা দল হয়েই আমরা বাংলাদেশে যেতে পারব।’ একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ইংল্যান্ডের মিডিয়ায়, সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তরুণ কেউ অবিশ্বাস্য পারফর্ম করে বসলে ভারত সফরে কি হবে, নিয়মিত কেউ জায়গা হারাবেন না তো? বেইলিসের জবাব ‘না’, তবে কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলেও স্বীকার করেন তিনি। ইংলিশ বস বলেন, ‘আমি চাই তেমনটা না হোক। সেটি হলে হয়ত কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যি কঠিন হয়ে পড়বে।’ ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। তিন প্রস্তুতি, সমান ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট শেষে তারা সরাসরি ভারতে উড়ে যাবে। সেখানে পাঁচ টেস্টের সিরিজ, কোন প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। বেইলিস তাই বিশেষ করে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট দল চাইছেন। আর ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আগেই জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরের জন্য কোন ক্রিকেটারকে জোর করা হবে না। গত ২৫ আগস্ট ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ সফরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ইসিবি। এরপরই কিছুটা অস্বস্তির কথা জানান, জস বাটলার ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। বড় বিষয়, ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগান এখনও দোটানায়! তবে টেস্ট অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুক এবং তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলি আসবেন বলে জানিয়েছেন। মরগান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার (গুলশানে) মাস দুয়েকের মধ্যে আপনার সামনে অনেক তথ্য আসবে। সব কিছু হজম করার বিষয় থাকে। থিতু হয়ে ক্রিকেটে মন দেয়ার কথা ভাবতে হয়। এটা সবার ব্যক্তিগত বিষয়। ইসিবি আগেই সেটি বলেছে। কেউ বাংলাদেশে যেতে না চাইলে সবারই উচিত তার পাশে থাকা।’ এই পাশে থাকার বিষয়টাই অন্য কিছু ইঙ্গিত করে। পরবর্তীতে অন্য কেউ ভাল করলে দলে জায়গা হারানোর ভয়টা ফুটে ওঠে। ব্রাত্য তারকা কেভিন পিটারসেন (কেপি) বলেছেন, তিনি নিজে হলে আসতেন না। আবার শঙ্কার যুক্তিটাও তুলে ধরেছেন কেপি, ‘মরগান এখনও মনস্থির করতে পারেনি। সেটি নেতিবাচক হলে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে পড়বে। তখন অন্য অনেকে বলবে, আমরা যদি যেতে পারি তাহলে তুমি কেন পারবে না। অন্যদের চেয়ে কেন নিজেকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাবছ? সব মিলিয়ে এটা কঠিন পরিস্থিতি।’ টেস্ট অধিনায়ক কুক, প্রধান কোচ বেইলিসের মতো সহকারী কোচ পাল ফব্রেসেরও বাংলাদেশে আসতে অসুবিধে নেই। ফারব্রেসের সিদ্ধান্তটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে বন্ধুকধারীদের হামলার সময় সহকারী কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কার টিম বাসেই ছিলেন তিনি। ইসিবির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রেগ ডিকাসনের ওপর সবার পূর্ণ আস্থা রাখা উচিত বলে মনে করেন ফারব্রেস, ‘আমার সত্যিই কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ছিল না। গত সপ্তাহে লন্ডনে ইসিবির মিটিংয়ে আমি ছিলাম, সবার কথা শুনেছি। সেখানে আমি এমন কিছু শুনিনি, যা বাংলাদেশে যাওয়ার বিষয়ে আমাকে বিচলিত করতে পারে।’ ডিকাসনের মতো ঝানু নিরাপত্তা বিশ্লেষকের ওপর পূর্ণ আস্থা তার, ‘সন্দেহ থাকার কোন কারণ নেই। লংহাম হোটেলে (মিটিংয়ে) রেগ যা কিছু বলেছেন, তাতে মনে করি আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। তিনি বিশ্বের নেতৃস্থানীয় একজন বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশে যাওয়ার বিষয়ে আমার কোন দ্বিধা নেই। আশা করি কুকের মতো অন্য প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররাও ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবে।’
×