ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ১ শতাংশ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ১ শতাংশ বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নের হার প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ শতাংশ। এ হিসেবে এডিপির বাস্তবায়নের হার দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হলো- সাধারণত অর্থবছরের প্রথম দিকে সবসময় এডিপির বাস্তবায়ন কম হয়। এতে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। তবে সার্বিক এডিবির বাস্তবায়ন গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে বাস্তবায়ন হার ঠিকই বেড়ে যাবে। মন্ত্রী জানান, টাকার অঙ্কেও এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম দুই মাসে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল, যা চলতিবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এ হিসেবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এডিপির জন্য বরাদ্দ টাকার খরচের পরিমাণ ১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বেড়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) মাসিক ভিত্তিতে এডিপির অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের দুই মাসে এডিপির জন্য ব্যয় হয়েছে মোট ৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ৮৪৯ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অন্যদিকে গত অর্থবছরে একই সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো মোট ব্যয় করেছিল ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিলের ১ হাজার ৮৭১ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হচ্ছে- আইন ও বিচার বিভাগ (১৮.৮৭ শতাংশ), লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (১৪. ১৮ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (১১.৯৬ শতাংশ), শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণায় (১১. ৬৯ শতাংশ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (১১.৩১ শতাংশ), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় (৯.৫৯ শতাংশ) এবং বিদ্যুত বিভাগ (৮.৭৮ শতাংশ)।
×