ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাহীন রেজা নূর

বেগম জিয়া ও তারেকের অসভ্যতা

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বেগম জিয়া ও তারেকের অসভ্যতা

আমাদের দেশে সাম্প্রতিককালে যে জঙ্গী তৎপরতা চলেছে এর নাটেরগুরু যে বিএনপি-জামায়াত তাতে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই। দেশে বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় কিভাবে ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে শত শত বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, কোচিং সেন্টার, মেডিক্যাল ক্লিনিক, প্রকাশনা সংস্থা, পরিবহন, পত্র-পত্রিকা ও গণ-মাধ্যমসহ হাজারো রকমের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানেন না এমন কথা কেউ বিশ্বাস করবে কি? আসলে তাদের চোখের সামনে এবং নাকের ডগাতেই এসব তখন বেশুমার গড়ে উঠতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকলেই তাদের ছড়ানো-ছিটানো পয়সার কাছে বিক্রি হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত যাবতীয় সরকারী প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে এসব অপকর্মকারীর জন্য বিপুল ধন-সম্পদ গড়ে তোলার পথ করে দিয়েছে সেদিন। যাতে কালক্রমে এরা ঐ অর্থ শক্তির ওপর ভর করে দেশে পুনরায় পাকিস্তানবাদী রাজনীতি চালু করতে পারে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এ লক্ষ্যেই বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আজকের বাংলাদেশে যে ভয়াবহ জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে তার জন্য সন্দেহাতীতভাবে জামায়াত দায়ী। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর প্ররোচনায় বিএনপি সকল পর্যায়ে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা জুগিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের এই জঘন্য রাজনীতি বিএনপিকে প্রকারান্তরে বাংলাদেশবিরোধী একটি সংগঠনে পরিণত করেছে। যদিও বিএনপি নেতারা এ কথা মানবেন না, তবুও এ সত্য তাদের কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে প্রকটভাবে ফুটে উঠছে বৈকি! বিএনপি নিছক রাজনৈতিক কৌশলজনিত কারণে বর্তমান সন্ত্রাস মোকাবেলার ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যের ধুয়া তুলেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এই মুহূর্তের সবচাইতে বড় সঙ্কট আর এই জাতীয় সঙ্কট মোকাবেলায় বিএনপির ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ মার্কা নীতি দলটির অধোগতির পরিচয়ই তুলে ধরে। বিগত দিনগুলোতে বিএনপি গণতন্ত্রের নামে সরকার পতনের জন্য যে ধরনের হিংসাশ্রয়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনগণের বিরাগভাজন হয়েছে তাতে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও আজ বহুমাত্রায় সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। খালেদা জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ পুত্র তারেক রহমান পাকিস্তানবাদী রাজনীতির চর্চা করতে গিয়ে দলটির ধ্বংস ডেকে নিয়ে এসেছে। কথায় বলে, ‘সামনের হাল যেদিকে যায় পিছনের হালও সেদিকে যায়।’ সম্প্রতি জিয়াপুত্র তারেক আবারও এর প্রমাণ রাখলেন। পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এমন সব কথাবার্তা বলেছেন যা কিনা তার মা খালেদা জিয়ার বিভিন্ন প্রকার এলোমেলো কথাকেও হার মানায়। তাদের উভয়ের বক্তব্যই নিছক অর্বাচীনতা এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত মূর্খতারই নামান্তর মাত্র! এ যেন কারক-বিভক্তি নির্ণয়ের জন্য বাংলা ব্যাকরণ পুস্তকের সেই বিখ্যাত বাক্য ‘পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়’-এর সাক্ষাতরূপ। বেগম জিয়া ও তারেকের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও উক্তি পর্যালোচনা করলে ঐ বাক্যের সঙ্গে সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যাবে নিশ্চয়! তারেক তার ঐ সাম্প্রতিক বক্তব্যে মহাজ্ঞানের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে জাতিকে তারস্বরে জানিয়ে দেন যে, এবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে উর্দু নামের কোন দল রাখা হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিকে সাফ সাফ আরও জানিয়ে দেন যে, ‘আওয়ামী’ শব্দটি উর্দু, সুতরাং বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণের দাবিদার এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হবে। পাঠক, এ ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘গোপালগঞ্জের নাম আর থাকবে না’-স্মরণ করুন! মা বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের নাম মুছে দেবেন আর তার গুণধর পুত্র জাতির পিতার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন! ভাগ্যিস, এই মহাজনরা বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও পাল্টে দেয়ার ঘোষণা দেননি! অবিশ্যি, এমন চেষ্টা যে ঐ অর্বাচীনরা অতীতে করেননি তা কিন্তু নয়। এই তো কিছুকাল আগে নানান আপত্তিকর ও জঘন্য মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে তারা জাতিকে এই মর্মে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে যে, বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ মুসলমান নন হিন্দু ছিলেন! এমনকি, এই অসভ্যরা বঙ্গবন্ধুর মাতা-পিতা সম্পর্কেও নোংরা বক্তব্য সংবলিত বই-পত্র ছাপতেও কসুর কম করেননি। মোদ্দাকথা, জাতির পিতা ও তার পরিবারবর্গকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমন কোন নোংরামি নেই যা তারা করেননি। মা গোপালগঞ্জকে বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠাঁই দেবেন না আর তদীয় পুত্রধন আওয়ামী লীগ রাখবে না। মানে মামার বাড়ির আব্দার আর কী! ব্যক্তিগত হীন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মাতা-পুত্রের এই পৈশাচিক উন্মাদনা! প্রতিহিংসার রাজনীতি যে আত্মবিনাশী সে সত্যটি এখনও এই গোমূর্খদের চোখে ধরা পড়েনি। ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তের রাজনীতি রাজনীতিকদের জীবনে আনে জগৎ জোড়া ধিক্কার আর এ কারণেই এই সব রাজনীতিক জন্মে যেমন মৃত্যুতেও তেমনি থেকে যায়। তাই বিগত বছরগুলোতে এত সব গণবিরোধী ও হিংসাত্মক ভূমিকা পালন করেও এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েও এদের কোন প্রকার বোধোদয় হয় না। মিথ্যা-গোঁজামিল-শাঠ্য-ষড়যন্ত্র আর হিংসার ফল কখনই ভাল হয় না, হতে পারে না। মুসলিম লীগ আর বিএনপি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। খালেদা জিয়া ও মহাদুর্নীতিবাজ তারেক ধরেই নিয়েছেন যে, তাদের লয় নেই, ক্ষয় নেই কেবলই আছে জয়। কিন্তু যে চক্রান্তের পথে তারা জয়ের স্বপ্ন দেখেন তা যে ভয়ঙ্কর রকমের প্রকৃতি-বিরুদ্ধ এ কথা ওরা ভুলে যান। সত্যকে মিথ্যার আবরণে ঢেকে রেখে কিছুকাল ফায়দা লোটা সম্ভব হয় বটে কিন্তু চূড়ান্ত বিশ্লেষণে মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। মতলববাজরা এই ফাঁকে কিছু জাগতিক আখের গুছিয়ে ফেলে। খালেদা ও তারেকের লোভ-লালসা, ছল-চাতুরী আর মিথ্যার রোষানলে বিএনপি নামক সংগঠনটিকে বিসর্জন দেয়ার পালা এখন বোধকরি শেষ পর্যায়ে আছে। যে কথা বলছিলাম, অর্বাচীন তারেক ইতোমধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা পূর্ববর্তী পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও একাত্তরে তার ভূমিকার প্রতি কটাক্ষ করে বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত আপত্তিকর ও ধৃষ্টতাপূর্ণ যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে তার সাজা হওয়া উচিত। এসব করে সে নিজ দলটিকেই যে হেয় প্রতিপন্ন করেছে ও করছে সে বোধ ও চেতনা এই অপরিণামদর্শী প্রাণীটির একেবারেই নেই। তারেক ভেবেছিল, আইএসআই এবং জামায়াতের ইন্ধনে, পরামর্শে ও সহযোগিতায় চক্রান্ত আর সহিংসতা ছড়িয়ে; জাতির পিতা সম্পর্কে নানান মতলবী প্রশ্ন উত্থাপন করে তথা তাকে খাটো করে এবং আওয়ামী লীগ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতায় ফিরে আসবে। কিন্তু তার সে গুড়ে যে বালি পড়ে আছে সেটি দেখার বা বোঝার মতো আক্কেল আল্লাহপাক তাকে দেননি। তার ও বেগম খালেদা জিয়ার সকল প্রয়াস-প্রচেষ্টা তাই আজ বুমেরাং হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের এ জাতীয় কুকীর্তির কারণে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীর মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং দল অভ্যন্তরে এক ধরনের গতিহীনতা বা জড়তা দেখা দিয়েছে। খালেদা-তারেকের নেতৃত্বাধীনে বিএনপি এই যাবত যে সব গণবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশে-বিদেশে দুর্নাম কুড়িয়েছে তাতে করে বিএনপির মধ্যকার দেশপ্রেমিক নেতাকর্মীদের মনে প্রবল ক্ষোভ সঞ্চারিত হওয়ার কথা। আর তা যে হয়নি তাও কিন্তু নয়; কিন্তু সমস্যা এই যে, এই ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের মাঝে সংগ্রামী ও সত্যনিষ্ঠ মানসিকতার রয়েছে দারুণ অভাব এবং দল অভ্যন্তরে এই ক্ষোভ প্রকাশের সাহসও তারা খুইয়ে ফেলেছে দলটির ও মূল নেতৃত্বের যাচ্ছেতাই ধরনের স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির কারণে। তাই কখনও সখনও এরা খালেদা-তারেক নেতৃত্বের অপরিণামদর্শিতা ও মিথ্যাশ্রয়ী রাজনীতির বিরুদ্ধে একটু-আধটু মুখ খুললেও পরবর্তীতে নেতৃত্ব ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে মুখে শুধু কুলুপই আঁটেননি, বরং খালেদা-তারেকের কোপদৃষ্টি থেকে বাঁচার আশায় দ্বিগুণ উৎসাহে তাদের মিথ্যা ও গণবিরোধী রাজনীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন! এ ক্ষেত্রে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মওদুদ আহমদ, জেনারেল মাহাবুব প্রমুখের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে খালেদা-তারেকের জামায়াত তোষণ নীতি যে দলটির জন্য সর্বনাশের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে এই সত্যোপলব্ধি অনেকের মনে ঘটলেও সুবিধাবাদী মানসিকতায় আচ্ছন্ন থাকার এবং দল ক্ষমতায় থাকাকালে নানা প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগের কারণে মিথ্যার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অবস্থান গ্রহণ করার নৈতিক বল রহিত হয়ে পড়েছেন এরা। হাওয়া ভবনের কল্যাণে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনের মাধ্যমে তারেক গং বিত্ত-বৈভবে এখন এতই ক্ষমতাধর যে ঐ অসৎ ও কু-রাজনীতির পরিচর্যা করতে তাদের অর্থের কোন অভাবই হয় না। আর ভাত ছিটালে যেমন কাকের অভাব হয় না ঠিক তেমনি এদের ছিটানো অর্থের খানিকটা ভাগীদার হওয়ার লোকেরও অভাব হয় না দলের মধ্যে। তাছাড়া, তারেক বা খালেদাকে দিয়ে নিজেদের অভীষ্ট হাসিলের জন্য যে সব দেশবিরোধী দেশী-বিদেশী কুচক্রী মহল সদাসক্রিয় রয়েছে তারাও এক্ষেত্রে টাকা-পয়সা কম ছিটাচ্ছে না। ফলে দলটিতে স্বাধীনচেতা, আত্মমর্যাদাবান ও দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী গড়ে ওঠা অসম্ভব-প্রায় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারেক সপরিবারে লন্ডনের মতো অত্যন্ত ব্যয়বহুল শহরে বছরের পর বছর যাবত কিভাবে বিলাস-ব্যসনের মধ্যে জীবনযাপন করছে সে কথাটি কি দলীয় কর্মীরা কেউ ভেবে দেখে? সে যদি দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ অর্থ-বিত্তের মালিক বনে না থাকে তাহলে এই এত বিপুল ব্যয় সে নির্বাহ করছে কি করে? বিএনপির মধ্যকার অধ্যাপক, ডাক্তার, ডক্টর, ব্যারিস্টার, এ্যাডভোকেট, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী আর সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাম রাজনীতিকসহ বিরাট সব নেতা খালেদা-তারেকের পিছনে এমন ঘুর ঘুর করে ঘোরেন কেন তা বুঝতে আকলমন্দের জন্য ইশারাই কাফী নয় কী! দেশের আমজনতার বোঝার জন্য বিষয়টি নিয়ে খানিক লেখালেখি হওয়া দরকার! বিশ্লেষণে দেখা যাবে যে, এই সব তাবড় তাবড় নেতা নিছক নিজ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রাজনীতি করেন। তাই দলের কাছ থেকে বৈধ-অবৈধ উপায়ে হাজারো সুবিধা প্রাপ্তির যে সীলমোহর এদের গায়ে সাঁটা রয়েছে তাতে করে খালেদা-তারেকের অসাধু-অসত্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধাচরণ এরা করবে কোন মন্ত্র বলে? ইদানীং, বিএনপি সন্ত্রাস দমন বিষয়ে যে জাতীয় ঐক্য ঐক্য করছে তা যে কত বড় প্রতারণার ফাঁদ তা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানা লাগে না নিশ্চয়! জামায়াতকে বান্ধব বানিয়ে সন্ত্রাস দমনের বুলি কপচানো চূড়ান্ত ভ-ামির নামান্তর মাত্র! ম্যাডাম এবার জন্ম দিনে কেক কাটেননি, মির্জা ফখরুল সাহেব ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিষয়ে সুর একেবারেই নিচে নামিয়ে জন-মন হরণের কৌশল দেখালেন। কিন্তু জামায়াত নামক ভাশুরের নাম মুখে নিতে কিংবা ঐ গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে বিএনপি’র দায়ী ব্যক্তিদের নাম উচ্চারণ করতে এবং ঐ হামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার বিষয়ে নিন্দা জানানোর কোন প্রয়োজনই বোধ করলেন না। একেই বলে এ যুগের গোয়েবলসীয় কৌশল! বিএনপিকে ভেসে উঠতে হলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে আর খালেদা-তারেকের অসাধুতা ও আইএসআইর খপ্পর থেকে দলকে হ্যাঁচকা টানে বের করে আনতে হবে। তাহলেই এর বাঁচোয়া, নচেৎ; দলটিকে মুসলিম লীগের পরিণতিই বরণ করতে হবে! লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×