ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দোষ স্বীকারের পর ঘাতক ওবায়দুল কারাগারে

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দোষ স্বীকারের পর ঘাতক ওবায়দুল কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার ॥ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৪) হত্যা মামলায় খুনী ওবায়দুল হক এবং চাকু বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিব দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করেন। ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়ার ৪ দিন পরই ওবায়দুল দোষ স্বীকারে রাজি হওয়ায় সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়ার পর ওবায়দুলকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। জবানবন্দীতে ওবায়দুল জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই রিশার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে আলাপ হতো। সাবলীল কথাবার্তা হতো। ব্যক্তিগত অনেক বিষয়েও আলাপ হয়েছে। দুজনের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। ওবায়দুল ধরে নিয়েছিল তার সঙ্গে রিশার প্রেম হয়ে গেছে। কিছুদিন পর জানতে পারে রিশা অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে। এতে সে রিশার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। রিশাকে চূড়ান্ত প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রিশা তা নাকচ করে দেয়ায় গত ২২ আগস্ট সে রিশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক ওইদিনই সন্ধ্যায় হাতিরপুল বাজারের বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার ও পেইন্ট নামে দোকান থেকে একটি চাকু কিনে। ২৩ আগস্ট স্কুলের সামনে গিয়ে রিশাকে ফের প্রেমের প্রস্তাব দিলে রিশা তা নাকচ করে। তখন রিশাকে সে চূড়ান্তভাবে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন বেলা সাড়ে এগারোটা থেকেই সে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রিশা স্কুল থেকে বের হলে জরুরী কথা আছে বলে রিশাকে ওভার ব্রিজের কাছে ডেকে নেয়। প্রেমের প্রস্তাব দিলে এবারও নাকচ করে দেয় রিশা। এ সময় ওবায়দুল কোমরে লুকিয়ে রাখা চাকু বের করে রিশার পেটে পর পর কয়েকটি আঘাত করে। রিশার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সে দ্রুত রাজস্ব ভবনের দিকে দৌড়ে চলে যায়। রাজস্ব ভবনের কাছে ময়লারস্তূপে চাকুটি ফেলে দেয়। তারপর প্রথমে কেরানীগঞ্জ ও পরে পালিয়ে যায়। ওবায়দুল গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে চাকুটি উদ্ধার হয়। ওবায়দুল চাকুটি মোহাম্মদ হোসেনের কাছ থেকে কিনেছিল বলে স্বীকার করে মোহাম্মদ হোসেন।
×