ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা দেশে বিদেশে

জামায়াত-বিএনপি আর জঙ্গীদের ষড়যন্ত্র একে একে নস্যাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জামায়াত-বিএনপি আর জঙ্গীদের ষড়যন্ত্র একে একে নস্যাত

মোয়াজ্জেমুল হক/ হাসান নাসির ॥ দেশে জামায়াত, বিএনপি ও জঙ্গীগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কিন্তু সরকারের প্রশংসনীয় তৎপরতায় এসব ষড়যন্ত্র একে একে নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার পর দেশের মানুষের মাঝে যে হতাশা নেমে এসেছিল তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। এখন উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এসব স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী ও জঙ্গীগোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ অতি দ্রুততার সঙ্গে দমনে সরকারের সফলতা দেশ-বিদেশে প্রশংসা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে এই অপচক্রটি দেশবিরোধী বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে নামে। জ্বালাওপোড়াও, গোপন হত্যা, টার্গেট হত্যা, দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ দিয়ে এরা মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত চক্রেরও বোধোদয় ঘটেনি বলেই প্রতীয়মান। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী পাকবাহিনীর দোসর হয়ে এরা নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে। খুন করেছে, মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে। স্বাধীনতার ৪ দশক পর সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধী ৫ জামায়াত নেতা ও ১ বিএনপি নেতা বিচারের রায়ে মৃত্যুদ-ে দ-িত হয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে। এ পর্যন্ত বিচার সম্পন্ন হয়েছে মোট ২৫ যুদ্ধাপরাধীর। আন্তর্জাতিক মান সমুন্নত রেখে পরিচালিত এই বিচার প্রক্রিয়া দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। এদেরই সমর্থনকারীদের একটি অংশ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জঙ্গীপনার মাধ্যমে মানুষ হত্যার যে তা-ব সাম্প্রতিক চালিয়েছে তা রোমহর্ষক। এ জঙ্গী তৎপরতায় জড়িতদের অধিকাংশ অতীতে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যখন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিরীহদের জঙ্গী সাজিয়ে হত্যা করা হচ্ছে তখন চলমান জঙ্গীপনার নেপথ্যে তাদের ইন্ধনই পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শুরুতেই এদের ষড়যন্ত্রের নতুন বীজ বপিত হয়েছে। শুরু হয়ে যায় দেশে-বিদেশে লবিং। বন্যা বইয়ে দেয়া হয় শত শত কোটি টাকার। মহান মুক্তিযুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর পালিয়েছিল এরা। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পুনর্বাসিত হয় জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধীরা। তখন থেকে তাদের ষড়যন্ত্রও শুরু হয়ে যায়। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এরা ধর্মপ্রাণ কিছু মানুষকে বিপথে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। ফলে তারা তাদের মিত্রশক্তি হিসেবে বিএনপির কাঁধে ভর করে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা এক্কাট্টা হয়ে বছরের পর বছর প্রকাশ্য ও গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যখনই কোন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে বিচারে মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষিত হচ্ছে তখন এরা হরতাল ডাকার ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করছে। যদিও এ ধরনের হরতালে জনগণের কোন সাড়া মিলছে না। তারপরও তারা থেমে নেই। সর্বশেষ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা মীর কাশেম আলী, যাকে দলটির খাজাঞ্চি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে তাকে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদ- রায় দেয়ার পর জামায়াত দেশব্যাপী হরতাল ডাকে। এরপর সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ এ দ- বহাল রেখে মীর কাশেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আবারও হরতাল ডেকে বসে। সোমবার তৃতীয় দফায় ডাকে অর্ধদিবস, যদিও এই হরতালেও জনগণের কোন সাড়া নেই। সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে। এরপরও এ যুদ্ধাপরাধের দলটি দেশে হরতাল ডাকার দুঃসাহস কিভাবে দেখায় তা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ সূত্র বলছে, ওদের মিত্রশক্তি বিএনপি জাতির পিতা খুনীদের বিচার না করতে আইন করেছিল। আর খুনীদের বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশী দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ধুলোয় মিশে গেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে। কয়েকজন ফাঁসিতে ঝুলেছে। অন্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অপশক্তি ইতোপূর্বে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত পরাজিতই হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের সে বিচার শুরু হয়ে একে একে রায় কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু এরপরও জামায়াতী ঔদ্ধত্যের প্রকাশ হয়েই চলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যখনই দেয়া হয় পরদিনই সকাল-সন্ধ্যা তাদের পক্ষ থেকে হরতালের ডাক দেয়া হয়। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ওই হরতালের তথ্য প্রচার করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। জামায়াত যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়কে কটাক্ষ করে চলেছে। তারা বলে আসছে, এসব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে একে একে হত্যা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে তারা হত্যা বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির পাশাপাশি সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এরা জনসমর্থন পায়নি। সে ঘটনা নিশ্চয় তারা ভুলে যায়নি। বিভিন্ন সূত্র জানায়, দেশে রগকাটা সংস্কৃতির রূপকার জামায়াত। জঙ্গী তৎপরতার নেপথ্যে জামায়াত। ইতোপূর্বে সরকারবিরোধী কর্মসূচীর নামে লাগাতার হরতালে জ্বালাওপোড়াও, ভাংচুর, হত্যাকা-ের নেপথ্যে বিএনপির সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জামায়াতী সন্ত্রাসও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে গঠন করেছিল রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ নানা নামে কিলিং মিশন স্কোয়াড। এরা হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করে এদেশে যে নির্মম হত্যাকা- চালিয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল। মা-বোনদের ইজ্জত-সম্ভ্রম লুণ্ঠন করেছে। মানুষের জায়গাজমি, বাড়িঘর দখল করে নিয়েছে। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়ে জামায়াতীদের পুনর্বাসন শুরু করেন। যার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরুদ্ধাচরণকারীদের ক্রীড়নক মওদুদীবাদের সমর্থক গোলাম আযম স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ পান এবং একপর্যায়ে খালেদা জিয়া সরকার আমলে আদালতের মাধ্যমে গো আযম এদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পান। পাকিস্তানী জামায়াত পরবর্তীতে এদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে আবির্ভূত হয়। পাকিস্তানের ইসলামী ছাত্রসংঘ হয়ে যায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে নীতি-আদর্শ থেকে যায় এক ও অভিন্ন। সূত্রমতে, যুদ্ধাপরাধী ও এক সময়ের তাবিজ বিক্রেতা জামায়াত নেতা সাঈদী ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সুড়সুড়ি দিয়ে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়ে একপর্যায়ে জামায়াতের টিকেটে একবার এমপিও হয়ে যান। মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী এ দানবের বিচার শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে উঠে আসে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিকা-ের নানা তথ্য। বিচারে তা প্রমাণিত হলে তার ভাগ্যে জুটেছে আমৃত্যু কারাদ-। তার মতো জামায়াতের আরও কয়েক দানবের আমৃত্যু কারাদ- হয়েছে। দ- পেয়ে কারাগারেই মৃত্যু হয়েছে জামায়াতের শীর্ষ নেতা গো আযমের। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপির একজনের মৃত্যুদ- হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের সাকা চৌধুরী। আরেক বিএনপি নেতা আবদুল আলীমের আমৃত্যু কারাদ- হয়। সাকাকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন এইচএম এরশাদ আর আবদুল আলীমকে মন্ত্রী বানিয়েছেন জিয়া। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া মন্ত্রীর পদ দেন যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের মাওলানা নিজামী ও মুজাহিদকে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে দুজনের মৃত্যুদ- হয়ে তা কার্যকরও হয়েছে। পাপ বাপকেও যে ছাড়ে না তার জ্বলন্ত উদাহরণ এটা। জামায়াত-বিএনপির মাঝে আরও অনেকে রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী। সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে কেউ ছাড় পাবে না। শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী যারা বানিয়েছিলেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের এসব বক্তব্য মানুষের অন্তরের কথার বহির্প্রকাশ। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় জামায়াতের এখনও ঘোর পুরোপুরিভাবে কাটেনি। তাই তো স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনটি যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়কে কটাক্ষ করেই চলেছে। বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে হরতালের ডাক দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। এ দুঃসাহস তারা পায় কোথায়? সরকার একে একে বিষাক্ত সাপ মারছে। কিন্তু সাপের লেজেও নাকি বিষ থাকে। সেই লেজের বিষও পরিষ্কার করতে উদ্যোগ নেয়ার সময় এসেছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। জঙ্গী দমন প্রশংসনীয় ॥ ইউরোপÑআমেরিকাসহ বিশ্বের দেশে দেশে যেভাবে কঠোরহস্তে জঙ্গীবাদ দমন করা হয় ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশেও জঙ্গীবাদ দমনে তৎপর সরকার। বিলম্বে হলেও সরকারের এ কঠোরতা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তার প্রতিক্রিয়ায় জঙ্গী দমনে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। দানবীয় এই অপশক্তি দমনে সকল ধরনের সাহায্য- সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই নাশকতাকারীদের দমন করাকে অত্যাবশক বিবেচনায় সরকারের রয়েছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। সরকারের কঠোরতায় দেশে ১ জুলাইয়ের পরিস্থিতি আর দু’মাস পরের আজকের পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ফারাক। সেদিন রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে ১৭ বিদেশীসহ ২২ জনকে গলা কেটে হত্যা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। এরপর কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গীরা ঘটিয়েছিল আরেকটি হত্যাযজ্ঞ। এতে দেশজুড়ে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান ও কঠোর পদক্ষেপে সেই আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গেছে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা হলেও সরকার গৃহীত পদক্ষেপের সফলতায় বাংলাদেশ সেই করাল গ্রাস থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে। জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি হওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল যে, জঙ্গীদের রুখে দেয়া সম্ভব হয়েছে। বেশ ক’বছর তাদের তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে সাময়িক চুপ থাকার পর তারা সরব হয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে থাকে প্রগতিশীল বিজ্ঞান লেখক, প্রকাশক ও মুক্তচিন্তার ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে। সেই হত্যাকারীরা ধরা পড়ছিল না। একে একে ঘটনা ঘটার পরও খুনীরা ধরা না পড়ায় মানুষের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছিল। ওদের ধরা যাচ্ছে না, নাকি ধরতে সরকার আন্তরিক নয়Ñ প্রশ্নটি জনমনে বেশ জোরালো হয়ে উঠেছিল। তবে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর প্রায় সকল হত্যাকা-ের আসামিরা ধরা পড়তে থাকায় মানুষের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। জঙ্গী দমনে সরকারের কঠোরতা প্রদর্শন ও দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করে হলি আর্টিজানে ১৭ জুন বিদেশীকে হত্যার পর। সেদিন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন জঙ্গীদের গ্রেনেড হামলায়। সরকারের শৈথিল্য ও নমনীয়তায় জঙ্গীরা যখন ঘাড়ে চেপে বসার উপক্রম হয় তখন কঠোরতা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। উপলব্ধি হয় যে, দানবীয় এই চক্রটিকে আর বাড়তে দেয়া যায় না। বেশ দ্রুতই দেশের মানুষের মনের আতঙ্ক দূরীভূত হতে থাকে। মাত্র দুই মাস আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তর ফারাক।
×