স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বীরাঙ্গনা মাতাদের মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যতদিন মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন রাষ্ট্র তাদের সম্মান করেই যাবে। তিনি এও বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন অবহেলিত। বীরাঙ্গনা মাতাদের সম্মান দেয়া তো দূরের কথা তাদের দুঃখ-কষ্টের খোঁজখবর নেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরের সম্মান দিয়েছেন। বোনের ভালোবাসা ও মায়ের মমতা দিয়ে বীরাঙ্গনা মাতাদের মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে সম্মানিত করেছেন। বিএনপি-জামায়াত আমলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সম্মানী ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধা নয়, তাদের প্রজন্মদেরও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। বীরমাতারা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সরকারী সকল হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন সরকারের এই সিনিয়র মন্ত্রী। তিনি রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীরাঙ্গনা মাতাদের সংবর্ধনা ও অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলার ৬৯ জন বীরাঙ্গনা মাতার মাঝে অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু ফরহাদ আহমদ প্রমুখ।
১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সংবর্ধনা সভায় আরও বলেছেন, জঙ্গীবাদ রুখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশের ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক-মজুর থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতে উনার এলার্জি আছে। উনি চান না দেশের মানুষ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হোক। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে কানসাটে বিদ্যুত আন্দোলনকারী কৃষককে গুলি করে হত্যার মধ্য দিয়ে তার প্রমাণ রেখেছেন। এখন আবার রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধিতা করছেন।