ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মঈন আসবেন ‘অবশ্যই’

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মঈন আসবেন ‘অবশ্যই’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগান যখন দোটানায় তখন সুযোগ পেলে ‘অবশ্যই’ বাংলাদেশে আসবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলি, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারের ভিন্ন মত থাকতে পারে। তবে কারও ওপর চাপ নেই। বাস্তবতা হচ্ছে, পৃথিবীর কোন দেশই এখন পরিপূর্ণ নিরাপদ নয়। যদি বাংলাদেশ সফরের দলে নির্বাচিত হই, তাহলে অবশ্যই সেখানে যাব। এজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমি শতভাগ ইতিবাচক।’ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ২৯ বছর বয়সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার। সফরের বিষয়ে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) গ্রিন সিগন্যালের পরই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তারকা ক্রিকেটারদের সবাই আসবেন তো? তাতে প্রথম ইতিবাচক বার্তাটা দিয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুক, সহকারী কোচ পল ফারব্রেসসহ অনেক খেলোয়াড়ই ইতিবাচক। কুকের পর মঈন দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার যিনি বাংলাদেশ আসছেন, বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন। ইসিবির পরিদর্শক প্রধান রেড ডিকাসনের সবুজ সঙ্কেতের পর থেকে দেশটির বিভিন্ন খেলোয়াড় ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই রকমের মন্তব্য করে আসছিলেন। এর মধ্যে প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে ইসিবির যৌথ এবং আলাদাভাবে সভাও হয়েছে। যেখানে ডিকাসন, ইসিবি বস এ্যান্ড্র স্ট্রসসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে, আসবেন নাÑ এমনটা এখনও নিশ্চিতভাবে কেউ বলেননি। পাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমানে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড। এটি শেষ হলে বাংলাদেশ সফরের জন্য দল ঘোষণা করা হবে। ওয়ানডে অধিনায়ক মরগান তার দ্বিধার কথা জানিয়ে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। ডেইলি মেইলের সংবাদে জানানো হয়, শেষ পর্যন্ত তিনি না আসলে জস বাটলারকে অধিনায়ক করা হবে। সেক্ষেত্রে জো রুট, মঈনের মতো একাধিক নিয়মিত তারকাকে বিশ্রামে রেখে ওয়ানডে দল ঘোষণা করা হবে। ঠিক তখনই মঈন তার এই মনোভাবের কথা ব্যক্ত করলেন। বাংলাদেশ সফরে ইংলিশরা প্রথমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে ৭ অক্টোবর, ৯ ও ১২ অক্টোবর বাকি দুই ওয়ানডে যথাক্রমে মিরপুর ও চট্টগ্রামে। একদিন আগেই মরগান বলেছিলেন, তিনি মনে করেন না যে তার সিদ্ধান্তহীনতা অন্য খেলোয়াড়দের ওপর প্রাভাব ফেলবে, ‘অবশ্যই নয়। এটা সবার ব্যক্তিগত বিষয়। ইসিবি আগেই সেটি বলেছে। কেউ বাংলাদেশে যেতে না চাইলে সবারই উচিত তার পাশে থাকা। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ গত ১ জুলাইয়ে গুলশানের এক রেস্তরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পূর্ব নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর হুমকির মুখে পড়েছিল। সম্প্রতি ডিকাসনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের পরিদর্শক দল পরিদর্শন শেষে ইসিবিকে তাদের মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দেয়ার পর ইংলিশ বোর্ড ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়। আর ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে গত সপ্তাহে প্রথম ইতিবাচক বার্তাটা দেন এ্যালিস্টার কুক। সাদা পোশাকের ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের আশ্বাসের পর তিনি ইসিবির পরিচালক এ্যান্ড্রু স্ট্রসকে চূড়ান্ত কথা দেন। স্ট্রসও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার এই সিদ্ধান্ত অপর ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন কুক। কিন্তু টেস্ট অধিনায়ক সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সতীর্থদের কীভাবে পাঠান? সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দলের প্রয়োজনে তাই পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই এই সফরে তার আসাটা খুব প্রয়োজন। সহকারী কোচ ফারব্রেসের সিদ্ধান্তটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে বন্ধুকধারীদের হামলার সময় সহকারী কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কার টিম বাসেই ছিলেন তিনি।
×