নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৪ সেপ্টেম্বর ॥ পৌর ভবন ভেঙ্গে একই স্থানে অপরিকল্পিত ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্মিত ১৪০টি দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে নোয়াখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা বুলডোজার মেশিন ও শ্রমিক দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী পৌরসভার তথ্যমতে, নোয়াখালী পৌর শহর তথা জেলার ঐতিহ্য ছিল পৌর ভবন। এখানে পৌরসভার কার্যক্রম ছাড়াও শহরের নাগরিকদের জন্য ছিল পৌর মিলনায়তন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে হঠাৎ করে সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ ওই পৌর ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে এবং সেখানে ছোট ছোট ১৪০টি দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করে। সূত্র জানায়, বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকসমূহের আলোচনায় ও দাফতরিক কাগজপত্র দেখে শহরে অপরিকল্পিত, অননুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্মিত ভবন, দোকান পাঠ, বিলবোর্ড ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে সোনাপুরের কয়েকটি দোকান ও শহরের প্রধান সড়কে নির্মিত দুটি বিলবোর্ড ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক পৌর ভবনের স্থানে নির্মিতব্য ১৪০টি খুপড়ি দোকানও রবিবার উচ্ছেদ করা হয়।
শরীয়তপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা শরীয়তপুর থেকে জানান, সদর রোডের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে জেলা সদরের চৌরঙ্গীর মোড় থেকে পুলিশ বক্স পর্যন্ত জেলা সদর রাস্তার দু’পাশের শতাধিক টং দোকানঘর ও রাস্তার দিকে ঝুলে থাকা দোকানের বাড়তি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
কেরানীগঞ্জ
নিজস্ব সংবাদদাতা কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় কালিগঞ্জ তেলঘাট থেকে আগানগর ব্রিজঘাট পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের পাশাপাশি তীর দখল করে রাখায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: