ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গোলাম কুদ্দুছ

আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা

(গতকালের পর) এমনি পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলনের সূচনা হয়। বেসামাল বিএনপি-জামায়াত জোটের পরামর্শে সংবিধানের সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তাদেরই মনোনীত রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদও দখল করেন। উত্তাল আন্দোলনে কেঁপে ওঠে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথরিয়া পর্যন্ত। এ সঙ্কটকালে পর্দার অন্তরালে শুরু হয় আরেক খেলা, যে খেলার কুশীলব সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তিও। প্রতিরক্ষা বাহিনীর চাপে ড. ইয়াজউদ্দিন নির্বাচন বাতিল করে দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন। মঞ্চে এলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মইনউদ্দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার বিধান থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে। দেশকে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয় এই সময়। লাগাতারভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। ভাল-মন্দ বিবেচনা না করে রাজনীতিবিদদের গড়পড়তা দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে থাকে। জরুরী অবস্থার কারণে সকল রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ হলেও কোন কোন মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সময় নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কানের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা আমেরিকায় যাবার পর তার নামে একাধিক দুর্নীতি ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজানো এ মামলা মোকাবেলায় শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সরকার তার দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফিরলেই তাকে বিমানবন্দরে গ্রেফতার এমনকি হত্যাও করা হতে পারে এমন সম্ভাবনা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে, নিজ দেশে ফেরা তার জন্মগত অধিকার, যে কোন মূল্যে তিনি দেশে ফিরবেন। মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে তিনি আইনী লড়াই করবেন, প্রয়োজনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন; কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথানত করবেন না। দেশের ভেতরে-বাইরে শেখ হাসিনার সাহসিকতায় মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়। অবশেষে তৎকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। দেশে ফিরে এলে শেখ হাসিনাকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা হয়। এ সময় দেশের মানুষ রাজবন্দীদের মুক্তি, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নির্বাচিত সংসদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়। অবশেষে সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ২০০৯-এর ৫ জানুয়ারি সরকার গঠন করার পর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারকে অনেক ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হয়েছে। সরকারের বয়স দেড় মাস পূরণ হওয়ার আগেই পরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত করা হয়। এ বিদ্রোহে সেনাবাহিনীর ৫৭ অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে নিজের জীবন বিপন্ন করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন। সঙ্কটে তার সাহস এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। সরকারের সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়ায়Ñ নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের অসমাপ্ত প্রক্রিয়া সমাপ্তকরণ। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠিত হওয়ার পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখে আইনী প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়। আত্মস্বীকৃত বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী খুনীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। বিদেশে যারা লুকিয়ে ও পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা ছিল সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ১৯৭৬ সালের ৩ মে এক অধ্যাদেশ বলে তৎকালীন ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকার সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, যা পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালের ২২ এপ্রিল সংবিধানের ৯ম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনে পরিণত করা হয়। শুধু রাজনীতি করার অধিকারই নয়, জেনারেল জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেন। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে জেনারেল জিয়া তার সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী, এমপি বানিয়েছেন। শুধু পুনর্বাসিত নয়, এদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলে সরকার গঠন করে প্রশাসনসহ সমাজের সর্বস্তরে শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করেন। এমনি পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর পর ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে বহুল আলোচিত ও কাক্সিক্ষত বিচার শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। সম্পূর্ণ উন্মুক্ত, নিরপেক্ষ এবং অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সকল আইনী সুযোগ প্রদান, রায়ের বিরুদ্ধে আপীল, আপীলের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের এবং সবশেষে রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রাখা হয় এই বিচার প্রক্রিয়ায়। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অভিযুক্তদের এত বেশি আইনী সুবিধা প্রদান করার দ্বিতীয় কোন নজির নেই। এরপরও জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের প্রধান মিত্র বিএনপি শুরু থেকেই এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করার জন্য অপপ্রচার ও মিথ্যাচার শুরু করে। শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করা হয় এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। কিন্তু দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার অটল অবস্থান গ্রহণ করেন। কতিপয় বৃহৎ শক্তি, ক্ষমতাধর কিছু মুসলিম দেশ, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সর্বশেষ মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরির অযাচিত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনা আইন মোতাবেক যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবির এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা ব্যাপক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, সরকারের সম্পত্তি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কঠোর হস্তে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। দোর্দ- প্রতাপশালী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানদের ফাঁসি হবে বাংলাদেশেÑ এ ছিল মানুষের কল্পনারও বাইরে। কিন্তু আইনের প্রতি আস্থাশীল শেখ হাসিনা তা বাস্তব করে তুলেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং নির্বাচন হতেও দেবে নাÑ প্রকাশ্যে এ হুঙ্কার দিয়ে তারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও নীতি গ্রহণ করে। সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা জানা সত্ত্বেও পরিকল্পিতভাবে সরকার উৎখাত করাকেই তারা এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে। এ সময়ে সরকার উৎখাতের নানা হুমকি এবং আল্টিমেটাম দেয়াও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে শাহবাগে গঠিত ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ সম্পর্কে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে অপপ্রচার করা হয় এবং এটি নাস্তিকদের কাজ ও রাসুলুল্লাহকে অবমাননাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এ সময় ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের একটি সংগঠন এ সকল অপপ্রচারকে সম্বল করে মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা ঘেরাও করে এবং মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। পুলিশকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তারা এখানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করে এবং পুরো মতিঝিল এলাকায় ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। কয়েকটি অফিস পুড়িয়ে দেয়, ব্যাপক ভাংচুর এবং আইল্যান্ডের গাছ কেটে ফেলা হয়, পুলিশের ওপর চালানো হয় পৈশাচিক আক্রমণ। ২০ দলীয় জোট এ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীকে সমর্থন জানায় এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। সরকার উৎখাতের গভীর চক্রান্ত মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় এবং হেফাজতের কর্মীদের উন্মত্ততায় মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাতের বেলায় নিরাপত্তা বাহিনী সমন্বিত অভিযান চালিয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে অবস্থানকারীদের সরে যেতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকজন মারা গেলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় তা ছিল অতি নগণ্য। মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচে এবং দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পায়। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি এবং সাহস দেশকে এক মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। এদিকে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা করে। হরতাল-অবরোধ ডেকে তারা নির্বাচনকে ভ-ুল করতে চেয়েছে। সব চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দেয়া, প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা এবং সংখ্যালঘুদের আক্রমণ ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। জেলেদের জাল এবং শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনি। ভোটারদের হুমকি, আক্রমণ করেও তারা নির্বাচন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। তুলনামূলকভাবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল অনিবার্য। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিত এবং জরুরী অবস্থা ঘোষণা কিংবা সামরিক শাসন জারির বিকল্প থাকত না। এতসব সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা জানা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং প্রগতির নামধারী কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের নামে মূলত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছে। কারও কারও প্রত্যাশা ছিল, এতে একসঙ্গে দুই লাভÑ শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি পড়ে। বিরোধীদের ব্যাপক অপপ্রচার সত্ত্বেও দেশে ও বিদেশে নির্বাচন এবং সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তেমন কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। উপরন্তু বাংলাদেশের নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী আইপিইউ-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া আন্তর্জাতিক মহলে বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতারই প্রমাণ দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের একগুঁয়ে এবং সন্ত্রাসী আচরণ সত্ত্বেও শুধু সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে টেলিফোন করেন। কিন্তু বেগম জিয়ার শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের ফলে সে উদ্যোগও ব্যর্থ হয়। গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার সাহসী এবং বিচক্ষণ উদ্যোগকে আমাদের সাধুবাদ জানাতেই হবে। চলবে... লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
×