ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোরবানির জন্য সোয়া এক কোটি পশু প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কোরবানির জন্য সোয়া এক কোটি পশু প্রস্তুত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ। আসন্ন কোরবানিতে চাহিদা রয়েছে এক কোটি পশুর। চাহিদার চেয়েও বেশি রয়েছে ১৫ লাখ পশু। এ কারণে এবার কোরবানির ঈদে পশুসঙ্কট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খুলনা সার্কিট হাউসে তিনি বলেন, এক কোটি পশুর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ৪০। বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া। গত বছরের চেয়ে এবার পশুর চাহিদা কত বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছর পশুর চাহিদা ছিল ৯৪ লাখ। এবার ছয় লাখ পশুর চাহিদা বেড়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে এবার সিটি কর্পোরেশনসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটগুলোতে এক হাজার মেডিক্যাল টিম নিয়োগ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে আমাদের দেশের খামারিরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পশু পালন করছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বেকার ও বিধবারা এখন গরু-ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, অতীতে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার ছিল কৃষিনির্ভর। কোন এক সময় সবার বাড়িতে ছিল গরু-ছাগল। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পশু পালনও কমে যায়। এখন আবার মানুষ পশু পালনে আগ্রহী হয়েছেন। এমনকি রাজধানী ঢাকাতেও হাজার হাজার মানুষ দুধের চাহিদা পূরণের জন্য গরু পালন করছেন। ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাই পথে কিছু আসলেও আসতে পারে। দেশের বাইরে থেকে কোন পশু আমদানির প্রয়োজন নেই। পশু আমদানি না হলে খামারিরা ন্যায্য মূল্য পাবেন, অন্যদিকে ক্রেতাদেরও বেশি দামে পশু কিনতে হবে না। এবারও গত বছরের ন্যায় ন্যায্য মূল্যে সবাই কোরবানির পশু কিনতে পারবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত বছর ভারতীয় গরু আসার পরও শেষ দিনে এসে সারাদেশেই কোরবানির পশুর সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে চড়া দামে কোরবানিদাতাদের পশু কিনতে হয়। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভারতীয় গরু না এলে এবছরও শেষ সময়ে এসে দেশে পশু সঙ্কট সৃষ্টি হবে। ফলে চড়া দামে কোরবানি দাতাদের পশু ক্রয় করতে হবে। ভারত এবছর সীমান্তে কড়াকড়ি করায় অবস্থা এমন হতে পারে যে, ঈদের আগের দিন কোরবানির পশুর হাটগুলো পশুশূন্য হয়ে পড়তে পারে।
×