ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে বেকারি মালিকদের ২ কোটি টাকা লোকসান

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঈশ্বরদীতে বেকারি মালিকদের ২ কোটি টাকা লোকসান

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী ॥ বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংক ও দোকানপাটে কাঁচা টাকা না নেয়ায় ঈশ্বরদীর ২০ বেকারি মালিকের এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেও কোন সমাধান হয়নি। ঈশ্বরদীর কয়েকটি বেকারি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলোও যেকোন মুহূর্তে বন্ধ হয়ে হাজার হাজার কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বেকারি মালিকরা অর্থমন্ত্রীর নিকট সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন। সুষ্ঠু সমাধান দিতে না পারলে তারা অর্থমন্ত্রীর অপসারণও দাবি করেছেন। পুরাতন বাজারের কোহিনুর বেকারির মালিক নাসির আহমেদ মনিরুল ও নুর বেকারির মালিক কুটিসহ বিভিন্ন বেকারি মালিকের দেয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ঈশ্বরদী পুরাতন বাজার, পৌর এলাকা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২০ বেকারি রয়েছে। যেসব বেকারিতে পাউরুটি ও বিভিন্ন প্রকার বিস্কুটসহ নানা প্রকার খাদ্যপণ্য তৈরি এবং পাইকারি বিক্রয় করা হয়। গ্রামাঞ্চলের দোকানি ও পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানিরা ওই সব বেকারির সঙ্গে ক্রেতা হিসেবে ব্যবসা করে থাকেন। ওই সব দোকানির কাঁচা টাকায় মালামাল বিক্রি করতে হয় বলে তারাও বেকারি মালিকদের কাঁচা টাকা দিতে বাধ্য হন। একইভাবে বেকারি মালিকরাও তাদের কাছ থেকে কাঁচা টাকা নিয়ে মালামাল বিক্রি করতে বাধ্য হন। কাঁচা টাকা না নিলে তাদের মালামালও বিক্রি করা যায় না। এভাবে গত প্রায় এক বছরে বেকারি মালিকদের লাখ লাখ কাঁচা টাকা জমে গেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকেও কাঁচা টাকা নেয়া হয় না। এমনকি কোন মুদি দোকানেও কাঁচা টাকা না নেয়ায় ইতোমধ্যে অনেক মালিক তাদের বেকারি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুরাতন বাজারের কোহিনুর বেকারির মালিক নাসির আহমেদের ৯০ লাখ ও নুর বেকারির মালিক কুটির ২০ লাখ কাঁচা টাকাসহ ২০ বেকারি মালিকের প্রায় ২ কোটি টাকা অলস জমে লোকসান হয়েছে।
×