ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে উল্লাস, জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সারাদেশে উল্লাস, জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকরের পর রাজধানীর শাহবাগ ও চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আনন্দ উল্লাস করেছে সাধারণ মানুষ। কোন কোন স্থানে মিষ্টি বিতরণেরও খবর দিয়েছে প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা বলেছেন, এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্তির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। তারা আরও বলেছেন, গোটা দেশের মানুষ বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর দেখতে চায়। শনিবার রাতে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। দেশবাসী এ বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চায়। মীর কাশেম আলীর বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। তিনি বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা, এ সরকারের অধীনেই সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার পর্যায়ক্রমে শেষ হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে। এর মধ্য দিয়ে জাতি যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে দেশ এগিয়ে যাবে। দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে জাতি অভিশাপমুক্ত হলো। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো শেখ হাসিনা নীতির কাছে অটল। এ রায় নিয়ে অনেকেই অনেক রকম কথাবার্তা বলেছেন। কিন্তু চট্টগ্রামের বদরনেতার শেষ রক্ষা হয়নি। গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম বলেন, রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমোচনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তিনি বলেন, শুধু রায় কার্যকর করলেই চলবে না, আগামীতে এই রাজাকারের দোসর ও অনুসারীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশব্যাপী উল্লাস মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকরের পর পরই আনন্দ মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগে এসে শেষ হয়। এই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রস্তুতির মধ্যে সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকর ছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে সেøাগান দেন তারা। অন্যদিকে, মৃত্যুদ-ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের সামনে জড়ো হয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরাসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় সাধারণ মানুষও। এ সময় মীর কাশেমের নির্যাতন কেন্দ্র ডালিম হোটেল পরিণত হয় আনন্দ উল্লাসের কেন্দ্রে। কেউ কেউ মিস্টি বিতরণ করেন। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিনিধিরা।
×