ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদবিরোধী আলোচনা সভা

জঙ্গী ও মদদদাতাদের নিশ্চিহ্ন করার দৃঢ় প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জঙ্গী ও মদদদাতাদের নিশ্চিহ্ন করার দৃঢ় প্রত্যয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী জঙ্গী ও তাদের মদদদাতাদের নিশ্চিহ্ন করার ডাক দেয়া হয়েছে দেশজুড়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত জঙ্গীবাদবিরোধী আলোচনা সভা থেকে। শনিবার একযোগে আয়োজিত এ সভায় অংশ নিয়ে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে জঙ্গীদের রক্ষা নেই। আত্মসমর্পণ না করলে সব জঙ্গীর পরিণতি নিহত জঙ্গী মুরাদের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দ্রুতই জঙ্গীদের নিশ্চিহ্ন করার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী এ সভা। প্রতিষ্ঠান প্রধান এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রতিটি কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়টিও সামনে চলে আসে। একই সঙ্গে নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজন, স্কাউটিং ও গার্ল গাইডস কার্যক্রম বৃদ্ধি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় ছিল শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজের বিশিষ্ট উদ্যোগী ব্যক্তি, ইমাম, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেহেশতের কথা বলে জঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে। মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়ার কোন পথ নেই। জঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের ফুঁসলিয়ে বিভ্রান্ত করছে, তাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করে দিচ্ছে, বিপথগামী করছে, বোমা মারাচ্ছে। জঙ্গীরা শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই দিচ্ছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জঙ্গীদের বলা হচ্ছে তুমি মরলেই বেহেশতে চলে যাবে, বেহেশতে গেলে পৃথিবীতে যা তুমি পাও নাই, সেখানে সব পাবে, যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেহেশতে হুর-পরী পাবে। এরা আসলে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে দেশ ও ইসলামের ক্ষতি করছে। ইসলাম ধর্মে মানুষ হত্যার কোন বিধান নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে, মানুষ মেরে বেহেশতে যাওয়ার কোন পথ নেই। শিক্ষকরা আদরস্নেহ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন, যাতে কেউ জঙ্গীবাদের কথা বললে তারা আপনাদের কাছে এসে বলতে পারে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে সহায়তা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। ইডেন মহিলা কলেজ মাঠে নির্মিত প্যান্ডেলে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক গায়েত্রী চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে ৫ সহস্রাধিক ছাত্রীর উপস্থিতিতে জঙ্গীবাদবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আলেমসহ সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে নয়, মানুষকে ভালবেসে ও রক্ষা করেই বেহেশত মিলে। কেউ সন্ত্রাস-জঙ্গী হয়ে জন্মায় না, পরিবেশ তা সৃষ্টি করে। তাই কেউ যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগতভাবেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী এবং শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে। তাই এ দেশে সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের কোন ঠাঁই হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, রমনা বিভাগের ডিসি ইব্রাহিম খান, উপ-অধ্যক্ষ ড. শামসুন নাহার, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল হক, অভিভাবক প্রতিনিধি মদনমহন বিশ্বাস, ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আনজুমান আরা অনু বক্তব্য রাখেন। এদিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে জঙ্গীদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, আত্মসমর্পণ না করলে সব জঙ্গীর পরিণতি নিহত জঙ্গী মুরাদের মতোই হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিহত জঙ্গী মুরাদকে পুলিশ জীবিত ধরতে চেয়েছিল, সে জন্যই পুলিশ কর্মকর্তারা আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে রাজধানী মিরপুরের রূপনগরের একটি জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত হন ‘মেজর মুরাদ’ নামে এক জঙ্গী। অভিযানে চার পুলিশ কর্মকর্তাও গুরুতর আহত হন। ক্যাম্পাসে ইসলাম প্রচারের নামে জঙ্গী কার্যক্রমে জড়িত ‘বড় ভাইদের’ বিষয়ে র‌্যাবকে তাৎক্ষণিক জানানোর অনুরোধ করেছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফল-২০১৬ সেমিস্টারে ভর্তি শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ও সহনীয়। শান্তিপ্রিয় এ সমাজে ঘোষণা দিয়ে বোমা মেরে, অস্ত্র দিয়ে দুয়েকজন মানুষ মেরে কিছু করার স্বপ্ন যারা দেখছেন তারা কিছুই করতে পারবে না। ইতোমধ্যে তারা বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছেন, আবারও হবেন। বেনজীর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মচর্চা করে তা শিখেছেন পরিবার থেকে। জেনেছেন ইমামদের কাছ থেকে। এখন সেখানে ইসলাম শেখাচ্ছে বড় ভাইরা। ক্যাম্পাসে ইসলাম প্রচারের নামে এ বড় ভাইদের দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানান। এ বড় ভাইদের আমরা নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস করে দিতে চাই। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এর অনেক ভাল ও খারাপ দিক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে টেররিস্টরা তাদের রিক্রুটমেন্টের কাজে ব্যবহার করছেন। ৯ম-১০ম শ্রেণীর শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। জঙ্গীরা টার্গেট করছে তাদের। প্রত্যেক অভিভাবককে এদিকে নজর রাখতে হবে, যাতে তাদের টার্গেট করতে না পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসী, জঙ্গী কার্যক্রমের কোন প্রচার, অপচেষ্টা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাবকে জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান তিনি। এ ছাড়া জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, মাদ্রাসার পদক্ষেপ নেয়ার প্রশংসা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার কোনভাবেই জঙ্গীবাদের কাছে মাথা নত করতে পারে না। কোন কিছুর বিনিময়ে জঙ্গীবাদের সঙ্গে আপোস করব না। অনুষ্ঠানে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এমএ কাশেম ও স্কুল অব হিউম্যানিটিস এ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুর রব খান। বাংলাদেশ থেকে খুব দ্রতই জঙ্গীবাদ নিশ্চিহ্ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ভিকারুননেসা ন্যূন স্কুল মিলনায়তনে জঙ্গীবাদবিরোধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ বিস্তার লাভ করতে দেব না। এজন্য আমাদের জঙ্গীবাদবিরোধী চেতনাবোধকে জাগাতে হবে। যদিও ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। কারণ, এদেশের মানুষ উগ্রবাদ পছন্দ করে না। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ধ্বংসযজ্ঞে বিশ্বাস করে না। এরপরও ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মের শর্টকাট বিকৃত ব্যাখা দিয়ে তরুণ সমাজকে টার্গেট করছে। কারণ, তারা জানে তরুণ সমাজ একদিন এদেশের উন্নয়নের হাল ধরবে। তরুণ সমাজকে ধ্বংস করলে দেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন রুদ্ধ হবে। এজন্য তরুণ সমাজকে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিকৃত ব্যাখ্যা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ধর্মের কু-ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় কিছু মানুষ হত্যাকা-ে মেতেছে। তারা বলছে, ইসলাম কায়েম করছে। আসলে জঙ্গীবাদ রাজনৈতিক চক্রান্ত। এ চক্রান্ত আমরা অনেকটাই মোকাবেলা করেছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের জাগরণের ফলে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুনসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনোয়রুল হক বেগ। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে এমন এক সময়ে তারা এই জঙ্গী হামলা চালায় যখন দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে ধাবিত। দেশের এই অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করা, দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারের ভাবমূর্তি দেশ-বিদেশে ক্ষুন্ন করাই জঙ্গীদের প্রথম কাজ। এর আগে সারাদেশে বেশ কয়েক মুক্তমনা লেখক, সাহিত্যিক, অধ্যাপককে হত্যা, হিন্দু ধর্মের পুরোহিত, সেবায়েত, খ্রীস্টান ধর্মের যাজককে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে। এসব জঙ্গী হামলার বিরুদ্ধে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দৃঢ় অবস্থানের বিকল্প নেই। ‘আলোকিত মানুষ হোন, জঙ্গীবাদ প্রতিহত করুন’ সেøাগানকে সামনে রেখে ট্রাস্ট কলেজ আয়োজন করে ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সভা’। সভায় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজের বিশিষ্ট উদ্যোগী ব্যক্তি, মসজিদের ইমাম ও গণমাধ্যম ব্যক্তিরা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। ট্রাস্ট কলেজ গবর্নিং বডির সভাপতি খালেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তরা-পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরা থানার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ খান এবং উত্তরা ১৩নং কল্যাণ সমিতির ১ম সহসভাপতি নওয়াব আলী মাস্টার। সভায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট কলেজের অধ্যক্ষ বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা এবং জঙ্গী হামলাসহ সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সভার কার্যক্রম। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে ট্রাস্ট কলেজ সঙ্গীত ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী এক আলোচনাসভা থেকে জঙ্গীদের নির্মূলে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। কলেজ মিলনায়তনে আলোচনাসভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কলেজের গবর্নিং বডির সভাপতি এ এস মাহমুদ, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার বেনজামিন ডি কোস্তা, রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কাজল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ কানিজ ফাতেমা মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সভা থেকে জঙ্গী নির্মূলের ডাক দেয়া হয়েছে। সভায় বলা হয়, জঙ্গী নির্মূলে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। কলেজের অধ্যক্ষ ও মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি শিক্ষক নেতা এম এস সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিদর্শক বিজয় কুমার ঘোষ, গ্রাফিক্স এ্যান্ড আর্টস কলেজের অধ্যক্ষ সুজা আলী। তারা বলেন, যারা জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদে যুক্ত তারা জঘন্য কাজে লিপ্ত। ইসলাম কখনও জঙ্গীবাদকে সমর্থন করে না। জঙ্গীবাদের সঙ্গে ইসলামকে যুক্ত করে শান্তির ধর্ম ইসলামকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্রীন রোড ক্যাম্পাসে ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বাসেদ, প্রক্টোর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আবু তারেক ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সহযোগী অধ্যাপক শাহ আলম চৌধুরী। ন্যাশনাল পলিটেকনিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদবিরোধী সভা। অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক বর্তমানের ডেপুটি এডিটর সোহেল হায়দার চৌধুরী, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম (পিপিএম-বার)। বক্তব্য রাখেন এনপিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইমুল আলম হৃদয়, ইউনিভার্সাল পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ আহম্মদ শাহ আলমগীর, এনপিআই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম, শিল্পী বিশ্বাস ও সাইফুল ইসলাম।
×