ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাজশাহীতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যায় রাজশাহীর চরাঞ্চলের ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও তলিয়ে আছে চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি। পানিতে তলিয়ে থাকায় শুধু রাজশাহী চিনিকল এলাকায় এক হাজার ২১৫ একর জমির আখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ধান, পাট, ভুট্টাসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আখের। ফলে এবার মাড়াই মৌসুমে চিনিকলে আখের যোগান নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে গত বুধবার রাজশাহী চিনিকলের একটি প্রতিনিধি দল জেলার বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ও গড়গড়ি এলাকার জলমগ্ন আখক্ষেত পরিদর্শন করেন। প্রায় এক মাস ধরে ওই এলাকার আখক্ষেত পানিতে ডুবে রয়েছে। জানা গেছে, চিনিকল জোন এলাকায় এবার ১২ হাজার ৩৮৭ একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পবা উপজেলার শ্যামপুর, বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের চর এলাকার আখের জমিতে প্রায় এক মাস ধরে পানি জমে রয়েছে। চর শ্যামপুর এলাকায় আখের পাতা শুধু পানির ওপর বের হয়ে আছে। আর বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চরের কোন কোন এলাকার আখ একেবারেই তলিয়ে গেছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, ১১৫ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এই আখ আর কোন কাজে লাগবে না। এছাড়া আরও ১ হাজার ১শ’ একর জমির আখ সম্পূর্ণ তলিয়ে না গেলেও শুধু মাথাটুকু বের হয়ে আছে। এসব আখও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পবার চর শ্যামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আখক্ষেতের শুধু পাতা বের হয়ে আছে। মাথা ডুবে গেছে। স্থানীয় চাষীরা বলেন, পাতা জেগে থাকলেও এই আখ আর কোন কাজে লাগবে না। বাঘা উপজেলার বেঙ্গাড়ি গ্রামের কলেজশিক্ষক আবদুল জলিল বলেন, তার ১৩ বিঘা জমির আখ সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। একই উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের আবদুল মান্নান বলেন, তার ১২ বিঘা জমিতে আখ ছিল। পুরোটাই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। রাজশাহী চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাদের প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। তারা জানিয়েছে, চিনিকল এলাকার ১১৫ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এই আখ পানি নেমে যাওয়ার পর নষ্ট হয়ে যাবে। আর এক হাজার ১শ’ একর জমির আখ সম্পূর্ণ না হলেও বেশির ভাগ অংশই তলিয়ে গেছে। হবিগঞ্জে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ নিহত এক নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ৩ সেপ্টেম্বর ॥ রাস্তাসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে শনিবার সকালে হবিগঞ্জের উপজেলা বাহুবলের পল্লী শ্যামপুরে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে অম্পু সূত্রধর (১৮) নামে কাঠমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা সুবল সূত্রধরের সঙ্গে একই গ্রামের পরিতোষ সূত্রধরের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ওই দিন সকাল ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে উভয়পক্ষের লোকজন তুমুল সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংর্ঘষ চলাকালে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হলে অম্পু সূত্রধরসহ সকলকেই স্থানীয় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে অম্পুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে আবারও সংর্ঘষের আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
×