ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শৌখিন থিয়েটারের ‘মন্টু মিয়ার বায়োস্কোপ’ নাটকের মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শৌখিন থিয়েটারের ‘মন্টু মিয়ার বায়োস্কোপ’ নাটকের মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুনরায় সংস্কারের পর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনের ভাড়া বৃদ্ধি করায় নাট্যদলগুলো বেশ বেকায়দায় পড়েছে। এ মঞ্চে নিয়মিত নাটক মঞ্চায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ছোটদলগুলোর পক্ষে যা নিতান্তই ব্যয়বহুলও বটে। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা সত্ত্বেও মিলনায়তনের ভাড়া কমানো হচ্ছে না। এর ফলে ঐতিহ্যবাহী মহিলা সমিতি মিলনায়তন আগের মতো ততটা জমছে না। সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই মিলনায়তন ফাঁকা থাকছে। তার পরেও মাঝে মাঝে কোন কোন নাট্যদল বেশ ঝুঁকি নিয়েই এখানে নাটক মঞ্চায়ন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনেশৌখিন থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘মন্টু মিয়ার বায়োস্কোপ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো। মমতাজ উদদীন আহমেদের ‘প্রেম প্রেম’ অবলম্বনে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। কমেডিধর্মী এই নাটকে দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সত্তর-আশি দশকের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিছু গান ব্যবহার করা হয়েছে। যা নাটককে প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মোঃ আলমগীর, চমক তাঁরা, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, মোঃ ইমরান খাঁন, তাস্মী চৌধুরী, এ্যাডভোকেট মোঃ তারেক, আজমিরা কান্তা মিরা, দিবা, জেনিতা রহমান হিয়া, ওয়াহিদুজ্জামান জিতু, সোহান, খায়রুল আলম লিমন, মোঃ নাইম হোসেন, সানোয়ার, আরমান প্রমুখ। নাটকের আলোক নির্দেশনায় ছিলেন জনি খাদেম ও বাদল, সঙ্গীত পরিকল্পনায় মোঃ আলমগীর, সঙ্গীত সঞ্চালনায় মোঃ তারেক ও আরমান, পোশাক পরিকল্পনায় তাস্মী চৌধুরী, মঞ্চ ব্যবস্থাপক মোঃ আলমগীর এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান রানা। ‘মন্টু মিয়ার বায়োস্কোপ’ নাটকের গল্পে দেখা যায় মন্টুমিয়া ও হাক্কামনি দু’জন দু’জনকে ভালবাসে। আর দু’জনের মধ্যে এই ভালবাসার সৃষ্টি হয় তাদের একই বাড়ির পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটে থাকার কারণে। মন্টুদের নিজের বাড়ি, হাক্কারা মন্টুদের পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। তাদের দু’জনের মধ্যে এক অদ্ভুত মিল। হাক্কার বড় চাচা সদর আলী অবিবাহিত। তার সকল প্রকার গবেষণা হাক্কাকে নিয়ে, হাক্কাকে তিনি পাথরের মতো শক্ত ও হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো নরম করে তৈরি করবেন। হাক্কা যেন যে কোন পরিস্থিতি খুব সহজে মোকাবেলা করতে পারে তার জন্য সদর আলীর তাকে রুটিন অনুযায়ী চলার নিয়ম করে দিয়েছেন। হাক্কার বাবা-মা চান হাক্কাকে বিয়ে দিবেন, হাক্কা ঘরসংসার করবে, স্বামী সংসার নিয়ে সুখে বসবাস করবে। সদর আলী তাদের কোন কথাই শোনেন না। হাক্কার বাবা-মার এ নিয়ে দুঃখের শেষ নেই। অন্যদিকে মন্টুর একমাত্র ফুপু উলফৎ আরা, তিনিও বিয়ে করেননি, তারও সকল চিন্তাভাবনা সব মন্টুকে নিয়ে। মন্টুও তার জীবনের সকল প্রেরণা, সকল আশা ভরসা, মন্টুর একটু মন খারাপ করলে তার চিন্তার শেষ থাকে না। মন্টুর বাবার ইচ্ছে মন্টুর সঙ্গে তার শ্যালিকার মেয়ের বিয়ে দেবে কিন্তু মন্টুর ফুপুর জন্য তিনি তা করতে পারছে না। এই দুই পরিবারের নানা মজার ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটক ‘মন্টু মিয়ার বায়োস্কোপ’।
×