ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১১ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১১ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। আলোচিত সপ্তাহে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে সূচকের পতন বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তাদের মতে, ঈদ-উল-আযহার আগে বিনিয়োগকারীদের নগদ টাকা উত্তোলনের প্রবণতা বেড়ে যায়। যার কারণে বাজারে মুনাফায় থাকা শেয়ারগুলোর বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। গত সপ্তাহেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসেবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ছিল সামিট পাওয়ারের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে মতবিরোধ। একাধিক কমিটি গঠন ডিএসইর এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার মধ্যে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারে প্রায় দুই বছর পরে মার্জিনেবল শেয়ার হিসেবে মুক্তি দেয়া। অর্থাৎ এখন থেকে শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগকারীরা মার্জিন সুবিধা পাবেন বা মার্জিন হিসেবে কিনতে পারবেন। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে করা জরিমানার অর্থ পরিশোধ করায় কোম্পানিটির শাস্তি কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৫৬ শতাংশ। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ১১ শতাংশ বা ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ২০ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ৪ দশমিক ০২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা বিডি, ন্যাশনাল টিউবস, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ডিবিএইচ, ডরিন পাওয়ার, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও ট্রাস্ট ব্যাংক। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, এ্যাপেক্স ফুডস, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ন্যাশনাল টিউবস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, এমবি ফার্মা, উসমানিয়া গ্লাস, সোনালী আঁশ, ঝিল বাংলা সুগার, জিকিউ বলপেন, ফার্মা এইডস, ইস্টার্ন কেবলস ও আইসিবি এএমসিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির।
×