ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতায় জিনপিং-এরদোগান ঐকমত্য

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতায় জিনপিং-এরদোগান ঐকমত্য

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার সফররত তুর্কী প্রতিপক্ষ রিসেপ তাইপ এরদোগান শনিবার সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তুর্কীভাষী সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চীনের আচরণ নিয়ে পূর্বেকার মতপার্থক্য পাশ কাটিয়ে উভয় পক্ষ এখন সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় হাংঝু শহরে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ব আয়োজনে শি জিনপিং কথা বলেন এরদোগানের সঙ্গে। চীনের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এমন কোন কাজে তুর্কী ভূখ- ব্যবহার হতে দেয়া হবে না, এরদোগানের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানান শি জিনপিং। এরদোগান দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে দুই নেতা পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে রাজি হয়েছেন বলে, চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্কের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে চীনের সহযোগিতার আশ্বাসকে এরদোগান ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্ক সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন চীন ছেড়ে দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুরু করে তুরস্ক পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা সংঘাত প্রবণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং এলাকাকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। বেজিং জানিয়েছে, কিছু কিছু উইঘুর শেষ পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদী গ্রুপে ভেড়ে। তুরস্কের ভূখ- যেন উইঘুরদের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার না হয় সে লক্ষ্যে বেজিং গত বছর আঙ্কারার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু আঙ্কারা বেজিংয়ের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে বলেছিল যেহেতু উইঘুররা নিজ দেশে রাজনৈতিক বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার তাই তাদের জন্য দরজা উন্মুক্ত রাখা হবে। জিনজিয়াংয়ে সহিংসতা উস্কানি ছড়ানোর জন্য চীন ইস্ট টার্কিস্টান ইসলামিক মুভমেন্টকে (ইটিআইএম) দায়ী করে তাকে। অধিকার গ্রুপগুলোর অভিযোগ, সরকারের নিবর্তনমূলক নীতিই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহিংসাতার প্রধান কারণ। -চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
×