ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসের উপস্থিতি প্রথম স্বীকার করল পাক সেনা কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আইএসের উপস্থিতি প্রথম স্বীকার করল পাক  সেনা কর্তৃপক্ষ

পাকিস্তানে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গী গোষ্ঠী আছে- তা এই প্রথমবারের মতো পাক সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কয়েক শ’ জঙ্গীকে আটক করে বড় ধরনের হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। খবর এএফপির। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়া বলেছেন, ইসলামাবাদ বিমানবন্দর ও বিদেশী দূতাবাসসমূহে আইএসের হামলার পরিকল্পনা বানচাল করা হয়েছে। কিন্তু গত মাসে হাসপাতালে আত্মঘাতী হামলায় আইএসের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। ওই হামলায় ৭৩ জন নিহত হয়। যদিও জঙ্গী গ্রুপটি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। দেশটিতে আইএসের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েছে পাকিস্তান। কেননা এর আগে সেনাবাহিনী এ কথাটি সরাসরি অস্বীকার করেছে। গত বছর লন্ডন থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ বলেছিলেন, পাকিস্তানে আইএসের একটি ছায়াও প্রবেশের অনুমতি দেবে না সেনাবাাহিনী। যদিও করাচী ও পাঞ্জাব উভয় প্রদেশের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আইএস জঙ্গীদের বিরুদ্ধে তাদের বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। ২০০৭ সালে পাকিস্তানী জিহাদী গোষ্ঠীসমূহ আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজস্ব তালেবান উপদল গঠন করে। আল কায়েদা হচ্ছে আইএসের প্রধান প্রতিপক্ষ। মুখপাত্র (বাজওয়া) বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করা আইএস ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে প্রথম পা রাখতে ক্ষমত হয়। যখন ছয় পাকিস্তানী তালেবান নেতা আল কায়েদা থেকে তাদের আনুগত্য পরিবর্তন করে এ সময় আইএসে যোগ দেয়। এক সংবাদ সম্মেলনে বাজওয়া বলেন, পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করছে দায়েশ। কিন্তু এই দলের মূল হোতাকে পাকড়াও করা হয়েছে।
×