ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশি ফেব্রিকই আরামদায়ক

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দেশি ফেব্রিকই আরামদায়ক

তারকা ফ্যাশন ঘুরে ফিরে দরজায় কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। এই খুশিতে থেমে নেই ঈদের কেনাকাটাও। ঈদে নানারকম অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন আপনার পছন্দের তারকারা। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও ঈদ ঘিরে তাদের থাকে নানা পরিকল্পনা। ঈদের প্রস্তুতি, পছন্দ-অপছন্দ, ছোটবেলা আর বড়বেলার ঈদ নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তার সঙ্গে কথা বলেছেন দেবব্রত ভৌমিক ঈদের কেনাকাটা শুরুই হয়নি নাকি শেষ? ঈদের কেনাকাটা এখনও শুরু করার সময় পাইনি। তবে কেনাকাটা ছাড়া তো আর ঈদ জমে না। এখন তো শূটিং নিয়ে ব্যস্ত তাই শেষের দিকে হলেও দু-একটা দিন নিশ্চয়ই শপিংয়ের জন্য রাখব। কোন ধরনের পোশাক আপনার পছন্দের? শাড়ি। আমি শাড়ি পড়তেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। কোন ধরনের ব্র্যান্ড পছন্দ? আমি দেশী পোশাকের অন্ধভক্ত। আমাদের দেশী পোশাকের মতো আরামদায়ক ফেব্রিক আর কোন দেশের ফেব্রিকে হয় না। দেশী ব্র্যান্ডের যে কোন পোশাকই আমার পছন্দ। তাই আমি অধিকাংশ সময়ই দেশীয় ফ্যাশন হাউসের পোশাক কিনে থাকি। এই ঈদেও দেশীয় ফ্যাশন হাউসের শাড়িই কিনব। বিশেষ কোন রঙের প্রতি আপনার দুর্বলতা আছে কি? পছন্দের রঙের তালিকায় গোলাপি ছাড়া প্রায় সব রংই রয়েছে। তবে অরেঞ্জ ও হলুদ শেডের রং সবচেয়ে বেশি পছন্দ। তাই হয়তো ঈদের পোশাকে এবার বেছে নেব হলুদ রঙের কোন শাড়ি। ঈদের সময় উপহার পেতে ভাল লাগে নাকি উপহার দিতে? ঈদে উপহার পাওয়ার চেয়ে দেয়াই তো বেশি আনন্দের। আমি ঈদ শপিংয়ে গেলে আগে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য উপহার কিনি। এরপর সময় পেলে নিজের জন্য কেনাকাটা করি। ঈদে উপহারও পাই অনেক। ঈদের দিন সারা বেলা কাটে কিভাবে? সারা বছর তো ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা ঘুমানোর সময় পাই না। এ কারণে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের সারা বেলার বেশ খানিকটা সময় ঘুমিয়েই কাটাব। নিজ হাতে রান্না করব। এরপর সময়-সুযোগ পেলে ঘুরতে যাওয়ারও ইচ্ছা আছে। কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন? আমি এমনিতে ভোজনপ্রিয় কিন্তু সবসময়ই ডায়েটের ব্যাপারে খুবই সতর্ক। খুব বেছে বেছে খাওয়ার চেষ্টা করি। মিষ্টি ছাড়াও ভাল লাগে সব ধরনের মাছ আর সবজি। সবজি দিয়ে মাছের তরকারি খেতে ভালবাসি। ফলের জুসও ভীষণ পছন্দ। ঈদে মায়ের হাতের ফিরনি তো আছেই। ঈদের দিনের বিশেষ কোন পছন্দের খাবার? আমি খুব মিষ্টিপাগল। মিষ্টিতে কোন বাছবিচার নেই। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেই হলো। এক কেজি রসমালাই একবারে খেতে পারি। তবে ডায়েটের কথা ভেবে সব সময় এমনটি করি না। ঈদে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেহেতু বেশি তৈরি হয়, তাই এদিন একটু বেশিই খাই। ছোটবেলার ঈদ কিভাবে কাটত? ছোটবেলার ঈদ নিয়ে সবারই মজার স্মৃতি থাকে আমারও আছে। ছোটবেলায় প্রতি ঈদেই নানাবাড়ি বেড়াতে যেতাম। জামা-কাপড়ের তুলনায় ঈদের জুতার ব্যাপারে আমার একটু বেশি আগ্রহ ছিল। পোশাক যেমনই হোক, যেনতেন জুতা আমি কখনোই নিতাম না। পোশাক মিলিয়ে জুতা কিনতাম। কেউ জুতায় হাত দিলে রং নষ্ট হবে সে ভয়ে জুতা নিয়েই রাতে ঘুমাতাম। এখন ঈদে সালামি পান নাকি দেন? ঈদে সালামি পেতে কার না ভাল লাগে। আমার পরিবারে ঈদের আনন্দের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বোধহয় সালামি। তবে এখন সালামি পাই কম, দিই বেশি।
×